মা নেই যে অভাগার
জগতে যার সবই আছে মায়াময়ী মা ছাড়া;
আসলে তার নাই-রে কেহ;সব থেকেও সবহারা।
কে ঘুচাবে পেরেশানি,কে মুছাবে চোখের পানি!
কে শোনাবে অভয় বাণি! নাইরে কেউ জগতজোড়া;
আসলে তার নাই-রে কেহ,সেই অভাগা সবহারা।
বলবে কে আর,’দুষ্টু খোকা,বানাসনে তোর মাকে বোকা;
ঘুমের ভানে জেগে থাকা,বুঝি-রে কপালপোড়া।
বলবে কে আর,দস্যিছেলে! ঘুরিস কোথায় মাকে ফেলে?
জানিস না তুই আড়াল হলে,তোর মা-যে হয় দিশহারা।
বিত্ত-বেসাত টাকা-কড়ি,জৌলুসেরই ঝকমারি।
থাকুক যতই বাহাদুরি,মা ছাড়া তুই মনমরা।
পুত্র-কন্যা বন্ধু-স্বজন,যারা তোমার প্রাণের আপন;
কেউ বোঝে না তোমার বেদন,মায়ের মতো নয় তারা।
যারা তোমার করে ভজন,তাদের মাঝে নাই কোনজন;
শুনে তোমার মনের রোদন,সাজবে সকল দুখহরা।
কপাল যখন ভিজে ঘামে,গতর জুড়ে ক্লান্তি নামে;
কার মমতার আঁচল মাগো,মুছবে ঘামের সেই ধারা!
আমার মাঝেই স্বপ্ন বুনে,দিন কাটালো গুনে গুনে;
লুকালো মা কোন ভুবনে,কোন নিঠুরের ইশারা।
শূন্য বুকের হাহাকারে,মাগো আমার কষ্ট বাড়ে।
তোমার স্নেহ-মায়ার ডোরে রাখো আমায় কোলজোড়া।
যতই দূরে থাক তবু,মনের আড়াল হও না কভু।
নির্জনে মা তোমার ছায়া মায়ার মত দেয় সাড়া।
মাগো তোমার বুকের মাণিক,দরদ পাবে একটু খানিক।
মায়ার পরশ বুলিয়ে আমার ভোলাও মনের তাপ জরা।
জগতে যার সবই আছে মায়াময়ী মা ছাড়া ;
আসলে তার নাই-রে কিছুই, সব থেকেও সব হারা-
আখেরে তার নাই-রে কেহ,সেই অভাগা সব হারা।