অতিথি পাখি কমেছে টাংগুয়ার হাওরে

জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ
 | প্রকাশিত : ২৬ ডিসেম্বর ২০২০, ১৮:২৪

তীব্র শীত থেকে বাঁচতে প্রতি বছর টাংগুয়ার হাওরে ঝাঁকে ঝাকেঁ আসে নানা জাতের বিদেশি পাখি। তাদের দেখতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষ আসেন হাওরে। কিন্তু গেল কয়েক বছর ধরে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে অতিথি পাখির আগমন। এবার সেই অবস্থা আরও প্রকট।

স্থানীয়রা বলছেন, শিকারীদের ভয়ে যেমন পাখি আসা কমেছে তেমনি পাখি কমে যাওয়ায় আগ্রহ হারিয়েছেন পর্যটকরাও। ফলে এদিকে যেমন জীববৈচিত্রের ক্ষতি হচ্ছে তেমনি লোকসান হচ্ছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট খাতেও।

১০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত টাংগুয়ার হাওরে প্রতি বছর শীত মৌসুমে সাইবেরিয়া, চীন, মঙ্গোলিয়া, নেপালসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি আসে। কিন্তু এবার পাখির সংখ্যা নেই বললেই চলে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, এক শ্রেণির অসাধু পাখি শিকারী, পাখি ব্যবসায়ী ও সীমান্ত এলাকায় সাংবাদিক নামধারী কিছূ লোকদের কারণে পাখির সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।

তাহিরপুর উপজেলার সদরের বাসিন্দা সাদেক আলীসহ অনেকেই জানান-শীতমৌসুমে বাড়িতে রাতে ঘুমানোর আগে আকাশে পাখিদের উড়ার শো শো শব্দ আর ডাক শোনা গেলেও এখন আর শোনা যায় না। শীতের শুরুতে পাখি না আসায় আর আশা করা যায় না যে পাখি আসবে।

টাংগুয়ার হাওরে বেড়াতে আসা আমিনুর রহমানবলেন, এবারও হাওরে পাখি নেই বললেই চলে। পাখির দেখা পাই নি। টাংগুয়ার হাওরে বন্যপ্রানী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন কার্যকর, জীববৈচিত্র রক্ষা ও পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য যুগপোযোগী কার্যকর প্রদক্ষেপ না নিলে পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নেবেন।

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, হাওরে কোথায় কোথায় পাখি শিকার, কিভাবে কোথায় বিক্রয় হচ্ছে এবং কিভাবে পাখি পাচার হচ্ছে সব তথ্য সংগ্রহ করে স্থানীয়রা আমাদেরকে জানালে অবৈধ ভাবে পাখি ও মৎস্য শিকারকারী ও এর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য যুগপোযোগী কার্যকর পদক্ষেপনিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।

(ঢাকাটাইমস/২৬ডিসেম্বর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :