চলন্ত বাসে ধর্ষণচেষ্টায় মামলা, তরুণী হাসপাতালে

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ ডিসেম্বর ২০২০, ০৯:৩৬

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত বাসে ধর্ষণ থেকে বাঁচতে লাফ দেয়া সেই তরুণী মাথায় আঘাত নিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার মধ্যরাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তার স্বজনরা। তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এছাড়া হাতেও আঘাত পেয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় তরুণীর বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে দিরাই থানায় একটি মামলা করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে মামলা করার কথা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে ঘটনার পর পুলিশ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসটি আটক করেছে। তবে এখনো চালক ও হেলপারকে ধরতে পারেনি। তারা গা ঢাকা দিয়েছেন।

শনিবার রাতেই জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে দিরাইয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

দিরাই পৌর এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণী স্থানীয় একটি কলেজের স্নাতক শ্রেণির ছাত্রী। তিনি সিলেটের লামাকাজি এলাকার বোনের বাড়ি থেকে বাসে করে দিরাইয়ে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন।

ওই তরুণীর ভগ্নিপতি বলেন, শনিবার দুপুরে লামাকাজি থেকে আমি তাকে সিলেট থেকে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলাচলকারী ফাহাদ অ্যান্ড মাইশা পরিবহনের বাসে তুলে দিয়েছিলাম। দিরাই বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছার আগে যাত্রী নেমে যাওয়ায় বাস ফাঁকা হয়ে যায়। এ সময় চালক ও হেলপার তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। সন্ধ্যার আগেই দিরাই উপজেলার মদনপুর সড়কের সুজানগর এলাকায় এসে জীবন বাঁচাতে সে বাসের জানালা দিয়ে লাফ দেয়। এরপর বাসটি গতি বাড়িয়ে বাসস্ট্যান্ডে চলে যায়। আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় দুজন আমার শ্যালিকাকে উদ্ধার করে দিরাই হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসকদের পরামর্শে আমরা ওসমানী মেডিকেলে নিয়ে আসি।

পুলিশ বাসটি আটক করেছে। তবে এখনো চালক ও হেলপারকে ধরতে পারেনি। তবে বাস মালিকদের সহায়তায় চালক ও হেলপারকে চিহ্নিত করে তাদের ছবি পুলিশকে দিয়েছেন বলে জানান তরুণীর ভগ্নিপতি।

মেয়েটির বাবা বলেন, সিলেটে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল আমার মেয়ে। শনিবার সন্ধ্যায় মেয়ে জামাই ওকে দিরাইয়ের একটি বাসে তুলে দেয়। সুজানগর এলাকায় তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় চালক ও তার সহযোগী। আমার মেয়ে বাঁচার জন্য গাড়ি থেকে লাফ দিলে হাতে ও মাথায় আঘাত পায়। এই ঘটনায় সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।

খবর পেয়ে মধ্যরাতে ওসমানী হাসপাতালে আসেন সিলেট বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মুকিত মুকুল। তিনি অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তাদের ধরতে পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তরুণীর পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা দেন।

মুকুল বলেন, ‘এটি খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। সিলেট বিভাগে আগে কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। এটি পুরো পরিবহন জগতের জন্য লজ্জার।’

সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের উপপরিচালক হিমাংশু লাল রায় বলেন, ওই তরুণী মাথায় ও হাতে আঘাত পেয়েছেন। মাথার আঘাত গুরুতর মনে হচ্ছে।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, আসামিদের ধরতে আমরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছি। দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাদের ধরতে পারবো বলে আশা করছি।

(ঢাকাটাইমস/২৭ডিসেম্বর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :