লক্ষ্মীপুরের লঞ্চঘাটে টোলের নামে চাঁদাবাজি

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটইমস
| আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২০, ১৪:৩৯ | প্রকাশিত : ২৭ ডিসেম্বর ২০২০, ১৪:০৩

লক্ষ্মীপুরে মজুচৌধুরীর হাটের সড়ক ও নৌপথে চাঁদাবাজি থামছে না। ইজারাদারের খাজনার নামে প্রতিদিন আদায় করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। ভাতিজার নামে ইজারা নেওয়া এই ঘাট থেকে সরকার নির্ধারিত ফির চেয়েও কয়েকগুণ বেশি টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়ালের বিরুদ্ধে।

স্থানীয়রা জানায়, লক্ষ্মীপুর-ভোলা মজুচৌধুরীহাট সড়ক এবং মজুচৌধুরীরহাটে গাড়ি থামিয়ে তোলা হচ্ছে চাঁদা। ঘাটের টোলের নামে প্রতিটি যানবাহন হতে ৩০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। মজুচৌধুরীরহাট লঞ্চঘাটে যেতে হলে দুই দফা এই চাঁদা দিতে হয়। লঞ্চ প্রতি সরকার ১৩০ টাকা নির্ধারণ করলেও ৪ থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। ট্রাক,বাস, স্পীড বোটসহ ছোট ছোট নৌযান থেকেও একইভাবে আদায় করা হচ্ছে এসব চাঁদা। এর প্রভাব পড়ছে সাধারণ যাত্রীদের ওপর। চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরাও যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। টাকা না দিলে নানা হয়ারানি ও মারধর করার অভিযোগও আছে। চাঁদাবাজির কারণে এই সড়কে প্রায়ই দেখা দেয় দীর্ঘ যানজট। ফলে প্রতিটি পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে পরিবহন মালিক থেকে শুরু করে যাত্রীদেও।

লঞ্চঘাট ইজারাদার ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়াল ও তার ছেলে আবু সুফিয়ান এসব চাঁদাবাজির টাকা তোলেন বলে অভিযোগ করেন লঞ্চ মালিক কামরুল ইসলাম পান্না। তিনি বলেন, চাঁদবাজি বন্ধ না হলে ১ জানুয়ারি থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হবে।

পরিবহন চালক, মালিকসহ অনেকেই জানান, ইতিমধ্যে এসব চাঁদাবাজি বন্ধ ও বিচার চেয়ে বিআইডাব্লিউটিএ চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন ভূক্তভোগীরা।

তবে চররমনী ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়াল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সরকার নির্ধারিত ফির বাইরে কোনো টাকা পয়সা নেওয়া হয় না। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।

চাঁদপুর বিআইডাব্লিউটিএ উপ-পরিচালক মো. কাউছারুল ইসলাম বলেন, টাকা নেওয়া ও অনিয়মের বিষয়টি তার নজরে এসেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। লঞ্চ ও পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সর্তক থাকতে বলছেন তিনি।

পুলিশ সুপার ড. এএইচ এম কামরুজ্জামান বলেছেন, নৌ ও সড়ক পথে যদি কেউ চাঁদাবাজির সাথে জড়িত প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিআইডাব্লিইটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, সরকার নির্ধারিত ফির বাইরে টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। এ ধরনের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৭ডিসেম্বর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :