গ্রীসে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সর্ব ইউরোপিয়ান মানবাধিকার

প্রকাশ | ২৮ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:৫৫

জহিরুল ইসলাম, (গ্রীস) এথেন্স

গ্রীসের এথেন্স থেকে ২৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইলিয়ার মারকোপোলোর অলগা নামক একটি গ্রামীণ শহর। সেখানে বাংলাদেশি কৃষি শ্রমিকদের আবাসস্থলে একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে গত বৃহস্পতিবার সাড়ে ২টার দিকে।

এ অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে সর্ব ইউরোপিয়ান মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও এথেন্স গার্মেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেখ আল আমিন ছুটে যান ঘটনাস্থলে। সঙ্গে ছিলেন এস এম ফারুক, শিশু মিয়া, জসিম উদ্দিন। এসময় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ অর্থ, নতুন পোশাক, কম্বল, চাল, ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেন তারা।

শেখ আলামিন বলেন, ‘সর্ব ইউরোপিয়ান মানবাধিকার ফাউন্ডেশন সব সময় অসহায় মানুষের পাশে ছিল, আছে এবং আগামীতেও থাকবে। ক্ষণিকের জীবনে একজন মানুষ হিসেবে অন্য মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করা যথেষ্ট মানবিকতার পরিচয়। সেই অবস্থান থেকে একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে মানুষের পাশে আছি।’

সকল শ্রমিকরা কৃষি খামারে কর্মব্যস্ত থাকা অবস্থায় তাদের বসবাসের স্থান প্লাস্টিকের তৈরি ফারাংঙ্গায় আগুনের সূত্রপাত হয়। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ আগুন লেগেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে প্রায় ৫০ জন বাংলাদেশি কৃষি শ্রমিকের সব কিছু আগুনে পুড়ে গেছে। তবে এ দুর্ঘটনায় কারো হতাহত হবার খবর এখনো পাওয়া যায়নি। এতে কৃষি শ্রমিকদের নগদ অর্থ, লিগ্যালিটির খুবই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস, পাসপোর্ট, দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারের সব কিছু আগুনে পুড়ে গেছে।

গ্রীসের অর্থনীতি পর্যটন নির্ভর হলেও কিছু কিছু গ্রামীণ জনপদে উৎপাদিত কৃষি খামারে বাংলাদেশি শ্রমিক জনতা প্রতি বছর মৌসুমী ফলমূলসহ বিভিন্ন ধরনের কৃষিজ পণ্য ফলানো ও উত্তোলনের কাজ করে। সেই ধারাবাহিকতায় অলগা তারাংগানু এলাকায় অস্থায়ীভাবে বসবাস করে স্ট্রবেরি ও কমলা বাগানে কর্মরত। সেখানে প্রায় অর্ধশত বাংলাদেশি কৃষি শ্রমিক কর্মরত। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এমনিতেই তারা খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছিলেন। এর মধ্যে এই অগ্নিকাণ্ড।

এমন অবস্থায় শেখ আল আমিনের দ্রুত ত্রাণ সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে কিছুটা হলে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানান জসিম উদ্দিন ও কক্সবাজারের মুহাম্মদ আমিন।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি শ্রমিকরা জানান, এ অগ্নিকাণ্ডে পর কাজ থেকে ফিরে পোশাক বদলানো, রাতের খাবার, ঘুমানোর, কিছু ক্রয় করে আনার মত কোন ধরনের সুযোগ তাদের ছিল না। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে শেখ আল আমিনের ত্রাণ সহায়তায় ক্ষুধা নিবারণ করেছে ভুক্তভোগীরা।

 (ঢাকাটাইমস/২৮ডিসেম্বর/পিএল)