মানবিক যুবনেতা শেখ নাঈম

প্রকাশ | ২৮ ডিসেম্বর ২০২০, ১৪:১৭

সুব্রত বিশ্বাস (শুভ্র)

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম অসাধারণ ব্যক্তিত্বসম্পূর্ণ, সৎ চরিত্রের অধিকারী একজন জনপ্রিয় যুবলীগ নেতা। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দক্ষ রাজনীতিবিদ, জনপ্রিয় নেতা, সৎ, চরিত্রবান এবং আদর্শ মানুষ হিসেবে একজন মানুষের যেসব গুণাবলী থাকা প্রয়োজন তার সব গুণাবলী শেখ নাঈম ভাইয়ের মধ্যে রয়েছে।

গোপালগঞ্জ-২ আসনের ৮ বারের নির্বাচিত সফল সাংসদ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক সফল স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী, বর্তমান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছোট ছেলে শেখ ফজলে নাঈম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় বোনের ছেলে শেখ ফজলুল করিম সেলিম। সে হিসেবে শেখ নাঈম হলেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হলেন শেখ নাঈমের ফুফু।

ক্ষমতার এতো কাছে থেকেও তিনি কখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করেননি। তার ব্যবহারে কখনো অহংকারী ভাব প্রকাশ পায়নি। বরং তিনি উদার, নিরহংকার, অমায়িক এবং মিষ্টভাষী হিসেবে পরিচিত। যে মানুষ তার সান্নিধ্যে একবার গিয়েছে, সেই মানুষটি কোন না কোনোভাবে মুগ্ধ হয়েছেন, যা তাকে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে গেছেন।

বর্তমানে শুধু গোপালগঞ্জ নয় শেখ নাঈমকে চেনেন না এমন মানুষ বাংলাদেশে খুব কম আছেন। শত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি সাধারণ মানুষের কথা শোনেন। তাদের বিপদে আপদে তিনি তাদের সাহায্য করেন। শুধু গোপালগঞ্জ নয় বাংলাদেশের সব জেলার মানুষ আসেন তার কাছে। এমন কোন মানুষ পাওয়া যাবে না যে, তার কাছে এসে সাহায্য না পেয়ে ফিরে গেছেন। মেয়ের বিয়ে-টাকার প্রয়োজন, সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে- টাকার প্রয়োজন, বড় আপারেশন- টাকার প্রয়োজন, চিকিৎসার ব্যয়- টাকার প্রয়োজন, সব ভরসার আশ্রয়স্থল শেখ নাঈম। এছাড়া অনেক মানুষ আসেন তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য অন্তত কিছু একটা অবলম্বন পাওয়ার আশায়। তিনি সাধ্যমত তাদের জীবন চলার মত ব্যবস্থা করে দেন। যেমন- কাউকে রিকশা, কাউকে ইজিবাইক আবার কাউকে মুদি দোকান করার মতো সহায়তা করে থাকেন।

অনুসারী, ভক্ত এবং সহকর্মীদের কাছে তাঁর জীবন এবং কর্ম প্রেরণার। তিনি সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন। শত ব্যস্ততার মধ্যেও কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন এমন নজির নেই, যা একজন রাজনীতিবিদের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। তিনি বুদ্ধিমান, মেধাবী এবং অমায়িক হিসেবে পরিচিত। আচরণে তিনি যেমন শিষ্ট, তেমনি বিচক্ষণতায় তীক্ষ্ণ। ঠিক তেমনি দুর্বলের তিনি যেমন বন্ধু, আবার অন্যায়-অত্যাচারকারীদের বিরুদ্ধে তিনি কঠোর। তিনি নিজের ক্ষতি করতে পারেন, কিন্তু অন্যের ক্ষতি তার দ্বারা অসম্ভব।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার সাথে সাথে তিনি গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে অসহায়, অসচ্ছল এবং হঠাৎ কর্মহীন হওয়া পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন। খাদ্য সহায়তার মধ্যে ছিল- পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, দুই কেজি আলু, এক কেজি পেঁয়াজ, এক কেজি লবণ, এক লিটার তেল, একটি সাবান এবং একটি সচেতনতামূলক লিফলেট। তিনি প্রায় ৩৫ হাজার পরিবারের মাঝে এ খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন। এছাড়া গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বেশ কিছু ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) প্রদান করেন। শেখ নাঈম বলেন- ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ শেখ সেলিমের দিক নির্দেশনায় অসহায় মানুষের পাশে থেকে মানবিক সহায়তা দিতে এসব খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থা করেছিলাম।’ তিনি আরও বলেন- ‘যেকোন দুর্যোগকালীন সময় গোপালগঞ্জবাসীর জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে।’

করোনাভাইরাসের মধ্যে সুপার সাইক্লোন ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় উপকূল অঞ্চলসহ গোপালগঞ্জের বেশ কিছু এলাকা। গোপালগঞ্জসহ উপকূল এলাকার প্রায় পনেরশ পরিবারকে তৎক্ষণাৎ শেখ নাঈম ভাই খাদ্য-সহায়তাপ্রদান করেন, যেন প্রত্যেক পরিবার অন্তত এক সপ্তাহ চলতে পারেন। এছাড়া গত রমজান মাস উপলক্ষ্যে গোপালগঞ্জ পৌর এলাকায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রায় পাঁচ হাজার পরিবারকে সবজি এবং রোজাদরদের মাঝে প্রায় সাত হাজার প্যাকেট ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দেন।

শেখ নাঈম ভাই রাত-দিন গোপালগঞ্জের মানুষের জন্য আত্ম-মর্যাদা, সুযোগ-সুবিধা, জীবন-যাত্রার মানোন্নয়ন, শান্তি এবং সুশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির করার লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার প্রতি সমান গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। যেন একটি স্বপ্নময় ভাতৃ-প্রতিম ও সম্প্রতিময় জেলা গড়ে তুলতে পারেন। সব গোষ্ঠীর লোকজন যেন শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারেন।

গোপালগঞ্জের মানুষ সত্যিই সৌভাগ্যবান শেখ নাঈম ভাইয়ের মতো আদর্শবান একজন নেতা পেয়েছেন, যে ভবিষ্যতে গোপালগঞ্জের মানুষের কর্ণধর হয়ে সকল মানুষের আশা-আকাঙক্ষা পূরণ করবে।

লেখক: কাউন্সিলর, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, শাহবাগ, ঢাকা