জামালপুরে চিকিৎসকদের ধর্মঘটের অব্যাহত, বন্ধ চিকিৎসা সেবা

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ ডিসেম্বর ২০২০, ১৯:০২

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকদের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও সদর থানার ওসিকে প্রত্যাহারসহ ৪ দফা দাবিতে চিকিৎসকদের ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও জেলার সকল সরকারি হাসপাতালের পাশপাশি কমিউনিটি ক্লিনিক ও বেসরকারি ক্লিনিকসহ প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাজারো রোগী। অনেকেই সেবা না পেয়ে হাসপাতাল ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে।

তবে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন, জামালপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের আহ্বায়ক ডা: মোশায়ের উল ইসলাম জানিয়েছেন, বহিরবিভাগের চিকিৎসাসেবা বন্ধ থাকলেও জরুরি বিভাগ অন্তবিভাগের চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া প্রসূতি মায়েদের জরুরি সেবা প্রদান চালু রয়েছে বলে জানান তিনি।

দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের দাবি মানা না হলে ময়মনসিংহ বিভাগের সকল হাসপাতালের বর্হিবিভাগের চিকিৎসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবেন বলে হুশিয়ারীও দেন তিনি।

গত শুক্রবার দুপুরে একজন নারী রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বজনরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও কমর্রত চিকিৎসক- কর্মচারীদের বেদড়ক মারধর করে। এসময় হাসপাতালে চিকিৎসক-কর্মচারী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা এগিয়ে এলে রোগীর স্বজনরা তাদের উপরও হামলা চালালে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ বাঁধে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং জামালপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: লুৎফর রহমানসহ কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে, পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

ডা: মোশায়ের উল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বহিরাগত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করে উল্টো ডা: লুৎফর রহমান ও কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসককে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। চিকিৎসকদের মারধর ও লাঞ্চিত করার পর তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

তিনি জানান, এ ঘটনার প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মকলেছুর রহমানকে প্রধান করে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সোমবার বিকাল ৪টায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা। তদন্ত প্রতিবেদন দেখে পরবর্তীতে চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ কর্মসূচী ঘোষণা করবেন বলে জানান তিনি।

এদিকে জামালপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুর হক বলেছেন, তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্বাস্থ্য বিভিাগের কর্মকর্তা ও চিকিৎসকদের আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য জেলা পশাসনের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৮ডিসেম্বর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :