স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সম্মানজনক ও কার্যকর সম্পর্ক গড়তে হবে

প্রকাশ | ২৯ ডিসেম্বর ২০২০, ১৬:১২ | আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২০, ১৬:২৮

সাদিয়া নাসরীন

এই যে খবর, প্রতিদিন বিয়ে ভাঙছে, এটা একটা ভালো খবর। কেন ভালো খবর তা বলছি। আগে যেটা বলতে চাই তা হলো, বিয়ে ভাঙার কারণ হিসেবে নারী এবং পুরুষ যে ভিন্ন ভিন্ন কারণ দেখিয়েছে তার সবটাই ভ্যালিড। সবচে ভ্যালিড এবং আশাব্যঞ্জক হলো পুরুষদের দেখানো কারণগুলো।

নারীরা মেজাজ দেখাচ্ছেন, নারীরা সংসারের প্রতি উদাসীন হচ্ছেন, নারীরা অবাধ্য হচ্ছেন। তার মানে, নারীরা এখন নিজের অধিকার সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন। তারা নিজেদের ওপর পুরুষের আধিপত্য, নিয়ন্ত্রণ এবং শ্রেষ্ঠত্বকে অস্বীকার করছেন।

মোস্ট ইম্পরট্যান্টলি, নারীরা আর্থিকভাবে সক্ষম ও স্বনির্ভর হচ্ছেন বলে “চাহিবামাত্র বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে”র ভাত-কাপড়ের দাসচুক্তিকে অস্বীকার করছেন। সচেতন নারীরা ঘর সংসার, যৌনদাসত্ব আর পুরুষের সংসারের শান্তি রক্ষা মিশনের একতরফা আরোপিত দায়-দায়িত্বকে প্রত্যাখ্যান করছেন।

সুতরাং, পুরুষদের এই সত্য মেনে নেওয়ার সময় এসেছে যে, নারীদের দমিয়ে রেখে সংসারের শান্তি আর রক্ষা করা যাবে না। বরং ঘরের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এখন পুরুষকেই পরিবর্তিত হতে হবে, নারীর কর্মক্ষমতা ও যোগ্যতাকে মেনে নিতে হবে, সমমর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।

এবং ভালো দিকটা হলো নারী-পুরুষ উভয়েই নিজেদের সুখ এবং মঙ্গলকে প্রাধান্য দিতে শিখছেন। পরিবারের দোহাই, সন্তানের দোহাই, সমাজের দোহাই, আইনের চাপাচাপি দিয়ে বিয়ে নামক একটি সাধারণ চুক্তিকে ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ বানিয়ে ঘরে ঘরে ফিজিক্যাল মেন্টাল ভায়োলেন্স না ক্রিয়েট করে মিউচুয়াল সেপারেশনের পথে হাঁটছেন।

অতঃপর নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য বার্তা এটাই যে, উভয় দিক থেকেই সম্মানজনক ও কার্যকর পার্টনারশিপ না গড়ে তুলতে পারলে পারস্পরিক বিশ্বস্ততা এবং নির্ভরতার সম্পর্ক তৈরি না হলে যে বিয়ে নামক নৈতিক চুক্তিটি শেষ পর্যন্ত একটি বোগাস কালচারে পরিণত হবে।

লেখক: কলামিস্ট

ঢাকাটাইমস/২৯ডিসেম্বর/এসকেএস