বাসে তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টা: দায় স্বীকার করে হেলপারের জবানবন্দি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সুনামগঞ্জ
| আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২০, ১৮:০০ | প্রকাশিত : ২৯ ডিসেম্বর ২০২০, ১৭:৪৭

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার বাস চালকের সহকারী রশিদ আহমেদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাগীব নুরের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় রশিদ আহমদকে। জবানবন্দি শেষে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আশেক সুজা মামুন জানান, জবানবন্দি দেয়ার পর রশিদ আহমদকে কারাগারে পাঠানো হয়।

রশিদ আহমদ সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের কামরাঙ্গিরচর গ্রামের হাবিব আহমদের ছেলে। নির্যাতিতা ছাত্রীর বাড়ি দিরাই পৌর শহরে। তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাসের চালক শহীদ মিয়া এখনও পলাতক রয়েছে। তিনি সিলেটের জালালবাদ থানার মোগলগাঁও ইউনিয়নের মোল্লারগাঁও গ্রামের তৌফিক মিয়ার ছেলে।

গত শনিবার বিকালে সিলেট থেকে দিরাই আসার জন্য বাসে ওঠেন ওই তরুণী। সন্ধ্যার দিকে বাসটি দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের পাশে আসার পর গাড়ির সব যাত্রী নেমে যায়। তখন গাড়িতে অন্য কোনো যাত্রী না থাকায় বাসের চালক ও তার সহকারী মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়েটি বাস থেকে লাফ দিয়ে সড়কে পড়ে যান। আশপাশের লোকজন তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

খবর পেয়ে নির্যাতিতার স্বজনসহ স্থানীয়রা রাতে দিরাই থানার সামনে বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশ গিয়ে বাসটি জব্দ করেছে।

এ ঘটনায় সেদিন রাতেই ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাসের চালক শহীদ মিয়া ও তার সহকারী রশিদ আহমদকে আসামি করে দিরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। মামলার দুই দিন পর সোমবার ভোরে সুনামগঞ্জ জেলার গোবিন্দগঞ্জ বাজারের বুঙ্গাইরগাঁও থেকে বাস চালকের সহকারী রশিদ আহমদকে গ্রেপ্তার করে পিপিআই।

গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রশিদ আহমেদ সেদিনের পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন বলে জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খালেদ উজ জামান। তিনি বলেন, সিলেটের লামাকাজি থেকে ওই কলেজ ছাত্রীকে বাসে তুলে দেন তার বোন জামাই। বাসটি সুনামগঞ্জ যাওয়ার কথা ছিলো এবং বাসটিতে বিভিন্ন এলাকার মোট ৪৫ জন যাত্রী ছিলেন। এদের মধ্যে দিরাই যাওয়ার জন্য ছিলেন ছয়জন। দিরাই যাওয়ার রোড ভিন্ন হওয়ায় ছয়জন যাত্রী দিরাই রাস্তার মোড়ে নেমে গেলেও ওই তরুণী সুনামগঞ্জ চলে যান। পরবর্তীতে বাসটি আবার দিরাইয়ের উদ্দেশে আসলে বাসে কোনো যাত্রী তোলা হয়নি।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে বাসে চালক, তার সহকারী এবং গেটকিপার থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং প্রাথমিকভাবে ধর্ষণচেষ্টার সত্যতা পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তারের পরই রশিদ আহমেদকে সোমবারই দিরাই থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/২৯ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :