নেয়ামত ভূঁইয়া অনূদিত: শায়েরি-সপ্তক
এক.
তোমার জিতের জন্যে জানাই আমার উষ্ণ অভিনন্দন,
যদিও এই আয়োজন মানে আমার হারেরই উৎযাপন।
জিততে তো পারে অনেক লোক;
খুঁজে দেখো দেখি সারা ভূলোক,
আমার মতন সব হারিয়ে নিঃস্ব হতে পারে ক’জন?
দুই.
সাকী, দেখো কী আজব দুনিয়া!
তোমার চোখেতে নেশার ঘোর;
অথচ সকলে করে অভিযোগ
আমিই নাকি মদিরা খোর।
তিন.
মদিরা কখনো যায় না রাখা ভাঙা পেয়ালায়,
সুর কখনো যায় না আঁকা ভাঙ্গা বেহালায়,
শিরির বিরহে ছেদকের ঘায়ে প্রাণ কেন দিলো ফরহাদ,
মন ভাঙে যারা, তারা তো কখনো শোনে সে ফরিয়াদ!
চার.
আমার ঠোঁটে তোমার যা তারিফ
তেলাওয়াত থেকে তা খানিক কম,
মহব্বত থেকে অনেকটা বেশি,
ইবাদত থেকে তা খানিক কম।
এখানে আছে জল্লাদ, ক্কাতিল,
আছে বিচারক, সাক্ষী-সাবুদ—
যাকে আমি বলি নিজের ঘর
আদালত থেকে তা খানিক কম।
পাঁচ.
যে চলে গেছে; সে তো চলেই গেছে
কোনো একদিন তাকে চলে যেতেই হতো,
বেঁচেও যদি যেতো,
একদিন তাকে মরে যেতেই হতো।
ছয়.
মন ভাঙার আখ্যান অনেক আছে,
বেঁচে থাকবার বাহানাও অনেক আছে,
তোমার ঠোঁট থেকে হাসির রেশ মুছে দিও না;
কারণ তোমার হাসির দেওয়ানা অনেকেই আছে।
সাত.
জন্মভূমি রক্ষাই এখন জরুরী ;
ঘর বাঁচানোর ফিকির এখন ছাড়ো,
পতাকা তুলে দাও আমার নিজেরই হাতে
আমার অগ্রজ যে কোনো জনের আগে।