শীতের কাপড় করোনামুক্ত রাখার উপায়

প্রকাশ | ০৩ জানুয়ারি ২০২১, ১৫:১২

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

নতুনরূপে করোনা সংক্রমণ তীব্রভাবে হানা দেওয়া শুরু করেছে। আমাদের মনে যে কোনও মুহূর্তে করোনা সংক্রমিত হওয়ার ভয় কাজ করে। আর সেই ভয় থেকেই করতে হয় বাড়তি কাজগুলো। জীবিকার প্রয়োজনে নিয়ম করে বাড়ি থেকে বেরতে হচ্ছে প্রায় সবাইকেই। বাসে, ট্রেনে সব জায়গায় স্পর্শ বাঁচাতে চাওয়া আর শত চেষ্টাতেও সম্ভব হচ্ছে না। শীতের সোয়েটার, জ্যাকেট, মোজা, টুপি, কাপড় দীর্ঘ সময় ধরে স্যানিটাইজেশন করতে হয়। পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করার উপায় অন্যভাবেও করা যায়। ঝুঁকি নিয়ে বাইরের জামা কাপড় না ধুয়ে ফেলে রাখবেন তার ভরসা কীসে! শীতের পোশাকে ভাইরাসমুক্ত রাখবেন কেমন করে জেনে নিন সেসব তথ্য।

বেশি নিশ্চিত হতে চাইলে শীতকালে দুইসেট গরম জামাই যথেষ্ট। একটা পরার ২৪ ঘণ্টা পর সেটা আবার পরা যেতে পারে ভাইরাসের ভয় ছাড়াই।

যদি কারও বেশি জামা-কাপড়েও সমস্যা থাকে তবে তিনি ওই জামাটিই আযরন করে নিতে পারেন। গরম কিছুর সংস্পর্শে এলে শুকিয়ে যাবে ড্রপলেট। নষ্ট হবে ভাইরাস। অথবা রোদে ঘণ্টাখানেক রাখলেও চলবে। তাতেও ড্রপলেট শুকিয়ে শেষ হবে ভাইরাস।

শীতের পোশাক ১২-১৩ ঘণ্টা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে বা়ড়িতেই একটা আলাদা জায়গা বানান। যেখানে বাইরের জামা কাপড় আলাদা করে কারও স্পর্শ থেকে দূরে সরিয়ে রাখা যায়। ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা পর সরিয়ে নিতে পারেন সেখান থেকে।

যেকোনও অতিছিদ্রসম্পন্ন তলে বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারে না এই ভাইরাস। মসৃণ তলেই এর স্বাচ্ছন্দ বেশি। কারণ, ভাইরাস কাশি বা হাঁচি থেকে নিসৃত ড্রপলেটের সাহায্যেই আটকে থাকে যে কোনও তলে। আর এই ড্রপলেট বা মিউকাস অতিছিদ্রসম্পন্ন তলে বেশিক্ষণ থাকতে পারে না। কারণ, ড্রপলেট বা মিউকাস থেকে অতিছিদ্রসম্পন্ন তল টেনে নেয় সমস্ত জলীয় পদার্থ। আর ড্রপলেটের পানি ছাড়া এই ভাইরাস বেশিক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে না।

যেকোনও ধরনের কাপড় তা শীতের পোশাক হোক বা সাধারণ কাপড়ের রয়েছে অতিচ্ছিদ্র সম্পন্ন তল। তাই যেকোনও কাপড়েই বেশিক্ষণ থাকতে পারে না ভাইরাস।

প্লাস্টিক বা ধাতব জিনিস সম্পর্কে সতর্ক হতে হবে। আমাদের জামা-কাপড়ে অনেক সময়ই এধরনের জিনিসও ব্যবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে আলাদা করে নির্দিষ্ট জায়গাটি স্যানিটাইজ করে নিলে সুরক্ষা নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। কারণ প্লাস্টিক বা ধাতব তলে অন্তত পাঁচদিন পর্যন্ত থাকতে পারে এই ভাইরাস।

(ঢাকাটাইমস/৩জানুয়ারি/আরজেড/এজেড)