শেয়ার প্রতি জেএমআই সিরিঞ্জের আয় ৪ টাকা ৩৫ পয়সা

প্রকাশ | ০৩ জানুয়ারি ২০২১, ১৫:১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম খাতের প্রতিষ্ঠান জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস লিমিটেডের ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে গত মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর)। করোনার কারণে ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় পরিচালনা পর্ষদের ঘোষিত ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন দেয়া হয়। টাকার অঙ্কে যা ৬ কোটি ৬৩ লাখ। এ ছাড়া এ সময় আরো পাঁচটি আলোচ্যসূচি (এজেন্ডা) অনুমোদিত হয়। প্রতিষ্ঠানটির ৫০ দশমিক ২৩ শতাংশের মালিকানায় রয়েছে জাপানের বিশ্বখ্যাত কোম্পানি নিপ্রো করপোরেশন।

এজিএমে জানানো হয়, সমাপ্ত হিসাব বছরে (২০১৯-২০ অর্থবছর) কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে  ৪ টাকা ৩৫ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ৩ টাকা ১ পয়সা। ৩০ জুন ২০২০ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১২১ টাকা ৬৬ পয়সা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট বিক্রয় হয়েছে ১৯৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা; যা গত অর্থবছরের চাইতে ২০ কোটি টাকা বেশি।

সভায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জাবেদ ইকবাল পাঠান বলেন, চার বছর ধরে আমরা ৩০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়ে আসছি। আগামী বছরগুলোর জন্য আরো বড় লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।

জেএমআই সিরিঞ্জ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৩৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা লভ্যাংশ হিসেবে শেয়ার হোল্ডারদের প্রদান করেছে বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিগত বছরগুলোতে নানা প্রতিকূলতার মাঝেও কোম্পানির উৎপাদিত পণ্যের মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসিত হয়েছে। যা আমেরিকা ও জাপানের মতো দেশকে পেছনে ফেলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। করোনার এই দুঃসময়েও এক দিনের জন্য কারখানা বন্ধ হয়নি। আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে উৎপাদন অব্যাহত রাখা হয়েছে। কর্মীদের কারও চাকুরিচ্যুত করা হয়নি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা করোনার টিকা দেয়ার কাজে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ (অটো ডিসেবল-এডি) উৎপাদন করতে সক্ষম। যার সুফল হিসেবে এরইমধ্যে আমরা ইন্দোনেশিয়াতে করোনা টিকা কার্যক্রমের জন্য দেড় কোটি সিরিঞ্জ রপ্তানি করেছি। পাকিস্তানে ২৬ লাখ সিরিঞ্জ রপ্তানি প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে রপ্তানির বিষয়ে আলোচনা চলছে।

সরকার যদি করোনার টিকা দেয়ার জন্য এডি সিরিঞ্জ কেনার উদ্যোগ নেয়, তাহলে দেশকে প্রাধান্য দিয়ে প্রয়োজনীয় সিরিঞ্জ উৎপাদন ও সরবরাহ করতে প্রস্তুত থাকার কথাও জানান আব্দুর রাজ্জাক।

ঢাকাটাইমস/৩জানুয়ারি/এসকেএস