২৬ ইট ভাটায় ফসলি জমির মাটি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের সোনাইকান্দি গ্রামের এক ইটের ভাটায় শতাধিক ট্রলিতে করে আনা হচ্ছে কৃষি জমির মাটি। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পার্শ্ববর্তী গলাকাটি মাঠের কৃষিজমি থেকে আনা হচ্ছে এই মাটি। রহস্যজনক কারণে উপজেলা প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

সোনাইকান্দি গ্রামের মতো উপজেলার স্বরূপপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার, নুরুল ইসলাম এবং সাদিপুরে মামুন রিফাইতপুরের শহিদুল ইসলাম ওলি, আসাদুজ্জান, সালামসহ ২৬ জনের  ইটভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে আশেপাশের এলাকার কৃষি জমির মাটি। 

সোনাইকান্দি গ্রামের ইট ভাটাটির মালিক উপজেলা বিএনপি‘র অর্থ সম্পাদক নজরুল ইসলাম। তিনি সোনাইকান্দি মৌজার ৮৮ ও ১ নং খতিয়ানভুক্ত ১৩১, ২৬৩ ও ২৬৭ দাগের ৬ একর ৫৬ শতাংশ সরকারি জমির উপর অবৈধভাবে ইট ভাটা স্থাপন করেছে। পার্শ্ববর্তী গলাকাটি মাঠের কৃষিজমি থেকে প্রতিদিন শতাধিক ট্রলিতে করে মাটি কেটে ইট তৈরি করছেন।

স্থানীয়রা বলেন, একদিকে সরকারি জমিতে অবৈধভাবে ইটভাটা চালানো অন্যদিকে সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে কৃষি জমির মাটি কেটে আনার বিষয়টি রহস্যজনক। কি কারণে উপজেলা প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না তা তাদের বোধগম্য নয়।

নজরুল ইসলাম এর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে তার ভাটায় কাজ করা লোকজন জানান, মাটি তিনি জমি মালিকদের কাছ থেকে কিনে নেওয়া হয়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেবার কথা জানান।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, যারা কৃষি জমির টপ সয়েল কেটে ইটভাটায় ব্যবহার করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকাটাইমস/৬ জানুয়ারি /পিএল