ভাতের মাড়ের কেরামতি

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ জানুয়ারি ২০২১, ১৫:২৪

বিশ্বের নানা প্রান্তে ভাতকে কেন্দ্র করে নানা পদ তৈরি হচ্ছে এবং নানা ভাষা, নানা জাতির মানুষ তা আনন্দের সঙ্গে গ্রহণও করছেন। কিন্তু ভাত রান্নার পর মাড়টা দিচ্ছেন ফেলে। ফলে চালের যা গুণাগুণ তার সিংহভাগই সেই পানির সঙ্গে চলে যাচ্ছে। ফলে ভাতের সঙ্গে যে পরিমাণ পুষ্টির আমাদের শরীরে প্রবেশ করা উচিত, তা করছে না। ফলে ভাত খেয়ে শুধু ওজনই বাড়ছে, আর কিছু সুফল মিলছে না। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ভাতের মাড়ে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ, ভিটামিন ই সহ আরও বেশ কিছু কার্যকরী উপাদান আমাদের শরীরে গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

গবেষণায় দেখা গেছে শরীর এবং ত্বককে চাঙ্গা রাখতে ভাতের মাড়ের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এমনকি একাধিক রোগের উপশমেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে ভাতের মাড়।

প্রসঙ্গত, একাধিক প্রাচীন গ্রন্থেও এই বিষয়ের উল্লেখ পাওয়া যায়। সেখানেও ভাতের ফ্যানকে কাজে লাগিয়ে শরীরকে কীভাবে রোগমুক্ত রাখা যায়, সে নিয়ে অনেক কিছু লেখা রয়েছে। এই লেখায়ও আধুনিক বিজ্ঞান এবং প্রাচীন শাস্ত্রকে মিলিয়ে ভাতের ফ্যানের এমন কিছু উপকারিতা প্রসঙ্গে আলোচনা করা হবে, যা পড়তে পড়তে আপনি অবাক হবেনই।

মাড়কে প্রাকৃতিক টোনারও বলা যেতে পারে। বেশ কিছু কেস স্টাডি করার সময় গবেষকরা লক্ষ করেছেন, প্রতিদিন মুখে ভাতের মাড় লাগিয়ে ম্যাসেজ করলে ত্বকের ছিদ্র ছোট হয়, সেই সঙ্গে স্কিনের উপরিঅংশে জমে থাকা মৃত কোষের আবরণ সরে যায়। ফলে স্বাভাবিকবাবেই ত্বক সুন্দর হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, রাতে শুতে য়াওয়ার আগে একটা তুলোর সাহায্যে ভাতের মাড় সারা মুখে লাগিয়ে ভাল করে ম্যাসেজ করে সারা রাত রেখে দিন। সকালে উঠে মুখটা ধুয়ে নিন। এমনটা রোজ করলেই দেখবেন ত্বক নিয়ে আর কোনও চিন্তা থাকবে না।

ত্বকের জলীয় ভাব বজায় রাখতে সক্ষম ভাতের মাড়। অর্থাৎ একে মশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ভাতের মাড় দিয়ে ধুলে ত্বক পরিষ্কার হয়। ত্বকের ঔজ্জ্বল্যও বাড়ে।

স্কিন স্পেশালিস্টরা বলেন ত্বকের বলিরেখা দূর করতেও ভাতের মাড়ের বিকল্প নেই। নিয়মিত ব্য়বহারে চোখের ডার্কসার্কেলও চলে যায়। এছাড়া ব্রণ হলে সেখানে মাড় লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায়। চুল ঠিক রাখতে কন্ডিশনার হিসেবেও অনেকে ভাতের মাড়ের ব্যবহারের কথা বলেন।

চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। সপ্তাহে তিনবার গোসলের আগে ভাতের মাড় ভাল করে চুলে লাগান। কিছু সময় অপেক্ষা করার পর হালকা গরম পানি দিয়ে চুলটা ধুয়ে নিন। এমনটা করলে চুলের গোড়ায় পুষ্টির অভাব দূর হবে। ফলে চুল পড়া সহ একাধিক স্কাল্প সম্পর্কিত রোগের প্রকোপ কমতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে চুলের উজ্জ্বলতাও বাড়বে।

ডায়ারিয়ার চিকিৎসায় কাজে লাগে। পানির মতো পায়খানা হয়েই চলেছে? সেই সঙ্গে পেটে এমন ব্যথা যে আত্মারাম খাঁচা হওয়ার যোগাড়! তাহলে এখন থেকেই ভাতের মাড় খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। আসলে পেট খারাপের সময় এক গ্লাস ভাতের মাড়ে অল্প লবণ দিয়ে খেলে শরীরে উপকারী খনিজের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে রোগের প্রকোপ কমতে শুরু করে।

এনার্জির ঘাটতি দূর করে। শরীরচর্চার আগে এক গ্লাস ভাতের মাড় খেলে শরীরে ৮টি উপকারী অ্যামাইনো এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা এক্সারসাইজের সময় পেশির গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ভাতের মাড়ে উপস্থিত কার্বোহাড্রেট এনার্জির ঘাটতি দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

(ঢাকাটাইমস/০৭জানুয়ারি/আরজেড/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

ফিচার এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :