কাজের সুযোগ বেড়েছে, মান বাড়েনি: তানভীন সুইটি

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২১, ১৪:৫৭ | প্রকাশিত : ০৯ জানুয়ারি ২০২১, ১৪:৩৮

জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানভীন সুইটি। তার শুরুটা মডেলিং দিয়ে। এরপর অভিনয়ে বাজিমাত করেন। নাটকের পাশাপাশি করেছেন কাজ করেছেন ছবিতেও। মডেলিং ও উপস্থাপনায়ও বেশ খ্যাতি কুড়িয়েছেন এ অভিনেত্রী। এক সময় টিভি নাটকে নিয়মিত অভিনয় করতেন। তবে বর্তমানে বেছে বেছে কাজ করছেন তিনি। কাজ এবং সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এই তারকা কথা বলেছেন ঢাকা টাইমসের সঙ্গে। সাক্ষাতকারে ছিলেন লিটন মাহমুদ।

কেমন গেল গত বছর?

গত বছর নিয়ে বলে শেষ করা যাবে না। একসঙ্গে সারা পৃথিবীর মানুষ যেভাবে গৃহবন্দী অবস্থায় ছিল, সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী থেকে শুরু করে অনেকেই গত বছর গত হয়েছেন।

নতুন বছরে নতুন কোনো উদ্যোগ?

নতুন বছরে নতুন উদ্যোগ তো থাকবেই। আমি তো শুধু নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে পারি না। সমাজ, পরিবার সবকিছু নিয়ে চিন্তা করতে ভালোবাসি। তাই করোনার কারণে গত বছর যে কাজগুলো করতে পারিনি, আশা করি এ বছর সেগুলো শেষ করতে পারবো।

একসঙ্গে মডেলিং, টেলিভিশন নাটক এবং থিয়েটারে কাজ করেছেন। ক্যারিয়ারে অনেকটা সময় পার করেছেন। কেমন ছিল দিনগুলো?

দিনগুলো উপভোগের ও আনন্দের ছিল। আমি এই জগতের সঙ্গে প্রায় ত্রিশ বছর ধরে জড়িত। যাদের সঙ্গে কাজ করেছি, তাদের সঙ্গে সম্পর্কটা পরিবারের মতো। জীবনের অনেকটা সময় আমি এই পেশায় কাটিয়েছি।

বর্তমানে আপনার কাজ কিছুটা কম দেখা যাচ্ছে এ সম্পর্কে কিছু বলুন।

অভিনয় কমিয়ে দিয়েছি বিষয়টি আসলে এমন নয়। আমি যখন প্রথম কাজ করতাম তখন মাসে ২৮/২৯ দিন শুটিং করতাম। এখন সময় অনেক গড়িয়েছে, আগের মতো কাজ করার সময় এখন হয়ে ওঠে না। তাই একটু কম দেখা যায়। তবে ভালো গল্প পেলে কাজ করি। আর সময় পেলেই নাটক দেখি। এখনকার সময়ে ফেসবুক-ইউটিউবে আমাদের নব্বই দশকের নাটকের কিছু খণ্ড ভিডিও-চিত্র পোস্ট করা হয়। সেগুলো দেখে এ খনো মুগ্ধ হই।

নতুনদের কাজ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কেমন?

নতুনরা ভালো কাজ করছে। তবে তাদের মধ্যে তাড়াহুড়ো একটু বেশি। তাদের শেখার আগ্রহটা একটু কম। তাদের জন্য পরামর্শ নেই, কারণ আমাদের তরুণ প্রজন্ম অনেক মেধাবী। শুধু বলব, জানার আগ্রহ বাড়াতে হবে। তবেই ভালো কিছু করা সম্ভব। বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিতে হলে জানার বিকল্প নেই।

আগে অভিনয়ের ক্ষেত্রে পরিশ্রম, মেধা ও যোগ্যতার ব্যাপারটি বিবেচনায় আনা হতো। এখন কেন তা হচ্ছে না?

টেলিভিশন চ্যানেল অনেক, পাশাপাশি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এসেছে। তাই সবার কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এখন কাজের সুযোগ বেড়েছে, কিন্তু কোয়ালিটি কমে যাচ্ছে। আমাদের সময় শুধু বিটিভি ছিল। যারাই তখন অভিনয় করতেন, তাদের নাটক চলচ্চিত্র সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান ছিল। সুযোগ কম থাকায় নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ছিল অনেক বেশি। তাই কাজগুলো অনেক ভালো হতো। এখন সবকিছু বেশি, কিন্তু দর্শক কমে যাচ্ছে। তাহলে বেশি হয়ে লাভ কী হলো? তাই বলবো কাজের ক্ষেত্রে সবাইকে আরও বেশি জানতে হবে এবং নিজেদের উন্নত করতে হবে।

বর্তমানের সঙ্গে আগের কাজের পার্থক্যটা কোথায়?

বর্তমানের সঙ্গে আগের পার্থক্য বিস্তর। আগে নাটকের বাজেট ভালো ছিল। এখন বাজেট খুবই নমনীয়। ভালো নাটকের জন্য বাজেট অনেক বড় একটা ফ্যাক্টর। তাই আমি টেলিভিশন মিডিয়ার প্রতি অনুরোধ করব নাটক শিল্প বাঁচিয়ে রাখার জন্য আপনারা বাজেটের দিকে একটু খেয়াল রাখবেন। তা না হলে আমাদের নাটক শিল্প একদিন হারিয়ে যাবে।

ওয়েব প্লাটফর্মের ভবিষ্যৎ কেমন হতে পারে?

আমিতো ওয়েবের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি। এই প্লাটফর্মে শুধু দেশ নয়, দেশের বাইরেরও দর্শক থাকে। তাই ভালো কাজ হলে সারা পৃথিবীর মানুষ দেখবে। আমরা কিছুদিন আগেও কোরিয়ান ওয়েব সিরিজ নিয়ে কথা বলতাম। আমেরিকা, ইরানসহ ইউরোপের অনেক দেশের কাজ আমরা দেখতাম। এখন সারা বিশ্বকে আমাদের নিজেদের কাজ দেখানো সুযোগ এসেছে। নিজেদের শিল্প-সংস্কৃতি এখানে তুলে ধরা যাবে।

(ঢাকাটাইমস/৯জানুয়ারি/এলএম/এসকেএস/কেআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :