বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫ হাজার করোনা রোগী
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ (শনিবার) পর্যন্ত পাঁচ হাজারের বেশি করোনা রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে দুই হাজারের রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
বিএসএমএমইউয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়ার নেতৃত্বে বর্তমান প্রশাসনের উদ্যোগে করোনাভাইরাস মোকাবেলা ও চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রাখতে ফিভার ক্লিনিক, করোনাভাইরাস ল্যাবরেটরি (পিসিআর ল্যাব), করোনা সেন্টার, কোভিড-১৯ ফলোআপ ক্লিনিক, বিশেষজ্ঞ হেলথ লাইন, হেলপ লাইন, অনলাইন সেবাসহ চিকিৎসাসেবা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত শাহবাগের বেতার ভবনে প্রতিষ্ঠিত করোনাভাইরাস ল্যাবরেটরিতে ভাইরাসটি শনাক্তকরণের জন্য ৯৬ হাজার ২৭ জন রোগীর পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পজিটিভ রোগীর সংখ্যা আইইডিসিআর-কে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে।
ওই সূত্রটি জানায়, গত বছরের ২১ মার্চ বেতার ভবনে জ্বর, সর্দি, কাশি রোগীদের জন্য প্রতিষ্ঠিত ফিভার ক্লিনিকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭০ হাজার ৪ শত রোগীকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে কেবিন ব্লকে গত বছরের ৪ জুলাই চালুকৃত করোনা সেন্টারে আজ আজ শনিবার ৯ জানুয়ারি সকাল আটটায় পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৪ শত ৭৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। রোগী ভর্তি হয়েছেন তিন হাজার ৩১১ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দুই হাজার ৭৬২ জন। বর্তমানে ভর্তি আছেন ১২৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী।
বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া ও ভাইরাসটি শনাক্তকরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা অর্থাৎ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবাদানকারী ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ানসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে নিয়মিত সভা ও মতবিনিময় করে যাচ্ছেন।
গত বৃহস্পতিবার এ ব্লকে ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের সাথে আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের সাহস দান ও মনোবল বৃদ্ধি করতে বক্তব্য দেন কনক কান্তি বড়ুয়া। ওই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে বিএসএমএমইউয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ রফিকুল আলম ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দ বক্তব্য দেন।
ঢাকাটাইমস/৯জানুয়ারি/এএ /এমআর