বগুড়ায় ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
বগুড়ায় ডিজে পার্টির দুজন ড্যান্সারকে ধর্ষণ এবং ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে পার্টির আয়োজক দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে এক নারীকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই নারীও ডিজে পার্টিতে ড্যান্সার নিয়োগ দেন।
ধর্ষণের শিকার একজনের বাবা বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দিলে শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় বগুড়া শহরের দত্তবাড়ী এবং রাত দেড়টায় গাবতলী উপজেলার পাঁচ মাইল এলাকা থেকে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন, গাইবান্ধা সদরের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রাজু আহম্মেদ(২৭), বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের নিশিন্দারা আকন্দপাড়া গ্রামের আনিছার রহমানের ছেলে নয়ন মিয়া শাহ এবং সারিয়াকান্দি উপজেলার ইন্দুপুর গ্রামের ইউসুফ আলীর স্ত্রী নিছা খাতুন নিহা।
এদের মধ্যে রাজু বগুড়ার উত্তর চেলোপাড়ার ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। আর নিছা বগুড়া দত্তবাড়ী বেনিকুন্ডু রোডের মিনকো প্যালেসের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটের বাসিন্দা।
মামলায় ধর্ষিতার বাবা উল্লেখ করেছেন, ধর্ষণের শিকার হওয়া তার মেয়ের বয়স ১৪ বছর। আরেকজনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি সম্পর্কে মামলার বাদীর নাতনী। তার বয়স ১৩। মামলার তিন নম্বর আসামি নিছা খাতুন নিহার সঙ্গে বিভিন্ন সময় দুই কিশোরী বিভিন্ন ডিজে পার্টির অনুষ্ঠানে ড্যান্সার হিসেবে কাজ করতেন। সেই সুবাধে মামলার অন্য দুই আসামি রাজু এবং নয়ন মিয়ার সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। তারাও ডিজে পার্টির আয়োজক হিসেবে কাজ করে।
এক পর্যায়ে গত ৭ ডিসেম্বর রাজু ওই দুই কিশোরীকে ডিজে পার্টি করার কথা বলে বেলা ১১টায় নিছার ভাড়া বাসা দত্তবাড়ী বেনিকুন্ডু রোডের মিনকো প্যালেসের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। এরপর রাত সাড়ে ৯টায় রাজু একজনকে এবং অপর আসামি নয়ন আরেকজনকে আদালা দুটো কক্ষে নিয়ে যায়। পরে রাজু একজনকে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং নয়ন আরেকজনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এ সময় নিছা তাদের রেখে অন্যত্র চলে যায়। পরে দুই কিশোরী ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে পালিয়ে এসে বাড়িতে সবাইকে বিষয়টি জানায়। সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, নিছা খাতুন বিভিন্ন বয়সী মেয়েদের নিয়ে ডিজে পার্টির আয়োজন করে। পার্টির আয়োজনে রাজু এবং নয়ন তার সহযোগী হিসেবে কাজ করে। ঘটনার পর দিন শুক্রবার ধর্ষিতার বাবা থানায় অভিযোগ দিলে নিছার ভাড়া বাসায় অভিযোগ চালিয়ে সেখান থেকে নিছা এবং রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী গাবতলী উপজেলার পাঁচমাইল এলাকার একটি বাড়ি থেকে নয়নকে গ্রেপ্তার করা হয়। নির্যাতনের শিকার দুই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। (ঢাকাটাইমস/৯জানুয়ারি/কেএম)