মায়েরা ওজন কমাতে চাইলে সন্তানকে স্তন্যপান করান

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১০ জানুয়ারি ২০২১, ১২:০০

শিশুর একমাত্র আহার হচ্ছে মায়ের দুধ। এটা তার অধিকার ৷ শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণে ও শারীরিক গঠন বৃদ্ধিতে যে অ্যামাইনো অ্যাসিড, প্রোটিন, শর্করা ও চর্বির সুসমন্বয় দরকার, তা মায়ের দুধেই আছে আর বয়স অনুপাতে এর পরিমাণ মাত্রা পরিবর্তিত হয়। তাই মায়ের দুধই আদর্শ ও সুষম খাবার।

জন্মের পরে প্রথম ছয়মাস শুধু স্তন্যপান করালে শিশুর যথাযথ পুষ্টি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাবৃদ্ধি তো বটেই, মায়ের ওজন বাড়া বা ফিগার নষ্ট হওয়ার বদলে বরং তাদেরও ফ্যাট ঝরে অনেক তাড়াতাড়ি। সুতরাং শরীরের ওজন কমাতে চাইলে সন্তানকে স্তন্যপান করান। তাতেই কমবে ওজন।

কমবেশি সকলেরই জানা, শিশুকে স্তন্যপন করানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সন্তানের ছয় মাস বয়স হওয়া পর্যন্ত টানা মাতৃদুগ্ধ পান, সুচনায় যা তার স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারি। অসুখ বিসুখ থেকে তাকে দুরে রাখতে এবং ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করবে।

সন্তানকে স্তন্যপান করানো মায়ের শরীরের জন্য অনেক উপকারি। মনে রাখবেন, গর্ভাবস্থায় মহিলাদের যে ওজন বেড়ে যায়, তা নিয়ন্ত্রণে আসবে সন্তানকে স্তন্যপান করিয়ে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শরীরের গঠনের দিকে নজর দিতে একটা সময়ের পর স্তন্যপান না করানোর সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ সঠিক নয়।

বিভিন্ন গবেষণার দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে যে, সন্তানদের ব্রেস্ট ফিড করলে মায়েদের অতিরিক্ত ফ্যাট, কোলেস্টেরল এগুলো কমে যায়। এছাড়াও, ব্লাড প্রেশার এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

গর্ভবতী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মহিলাদের শরীরে বিপাক প্রক্রিয়ার পরিবর্তন ঘটতে থাকে। একই সঙ্গে শরীরে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট বা মেদ জমতে থাকে, যা গর্ভের মধ্যে শিশুকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে।

এছাড়াও, সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে স্তন্যদান করলে মায়ের শরীরের অতিরিক্ত মেদ খুব সহজে গলে যায় এবং মা-কে সুস্থ হতে সাহায্য করে।

সন্তানকে স্তন্যপান আপনাকে রোগা করার প্রক্রিয়াকে অনেকটা সহজ করে দেবে। কারণ, শরীরে দুধ তৈরি হতে প্রতিদিন ৫০০-৭০০ ক্যালোরি বার্ন হয়।

অন্যদিকে, সন্তানের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে জাঙ্ক ফুড, ভুলভাল খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকেন মা। দুধ তৈরিতে ফল খেতে হয় এইসময়। সব মিলিয়ে প্রায় বছর খানেকের মধ্যে আগের চেহারায় ফিরে যেতে পারবেন মা। তাই নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সন্তানকে স্তন্যপান করানো জারি রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

উল্লেখ্য, মায়ের দুধ তৈরি করতে ও নিঃসরণে সাহায্য করে দুইটি হরমোন ৷ অক্সিটোসিন এবং প্রোল্যাকটিন । দুধ তৈরি করতে সাহায্য করে প্রোল্যাকটিন । দুধ নিঃসরণের সাহায্য করে অক্সিটোসিন । এই অবস্থার জন্য মায়ের ধৈর্যের প্রয়োজন । কারণ দু থেকে তিন দিন সময় লাগে । ছয় মাস পর্যন্ত এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট-ফিডিংয়ের জন্য মায়ের বড় ভূমিকা রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১০জানুয়ারি/আরজেড/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ

করোনায় ধূমপায়ীদের মৃত্যু হার ৩ গুণ বেশি: গবেষণা

বিদায়ী উপাচার্যের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রশ্নে যা বললেন ডা. দীন মোহাম্মদ

বিএসএমএমইউতে নতুন উপাচার্যকে বরণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি  

অ্যানেস্থেসিয়ায় হ্যালোথেন ব্যবহার বন্ধ করতে বললো স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, কেন এ নির্দেশ?

হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় বাদাম!

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসে জানুন সংক্রামক এ রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত

মৃগী রোগ সম্পর্কে কতটা জানেন? এর লক্ষণ আর চিকিৎসাই বা কী?

এক যুগ আগেই জানা যাবে আপনি মূত্রাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত কি না

কীভাবে চিনবেন প্রাণঘাতী অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার? বাঁচতে হলে জানুন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :