আগামী দিনে শিক্ষা-বন্ধুত্বের চ্যালেঞ্জ

প্রকাশ | ১০ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:০৩

এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার পিপিএম

প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষাজীবনের শুরু থেকে শেষ অবধি মূলত বন্ধুত্বের টানে স্কুলে যাওয়ার বিষয়টি নেশায় পরিণত হয়ে যায়। বয়স বিবেচনায় সাধারণত ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সময়ের মধ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্ককে ধরে নেয়া হয়। বন্ধুত্বের বন্ধনে একে অপরের খুব কাছাকাছি মাখামাখি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে জীবনের ঘনিষ্ঠতম বন্ধু বলতে আবেগ জড়ানো কোনো সম্পর্ক যদি থাকে, তাহলে এ সময়টিতে তা জন্ম নেয়। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শেষ পর্যায়ে গিয়ে এটি চূড়ান্ত রূপলাভ করে।

অতঃপর প্রত্যেকটি জীবনে আসে একটি নতুন ব্রেক, অর্থাৎ উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে এই বন্ধুত্বের কাছাকাছি থাকার সুযোগ হয় না অনেকের জীবনে। এমনকি কোনো কোনো জীবনের শেষ অবধি পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরে গড়ে ওঠা বন্ধুর সাথে আর কোনো দিনই হয়তো দেখা হয় না। কিন্তু বিশ্বাসের জায়গাটি এমনই যে, এই চোখের দেখা না হলেও ওই জীবনে সেসব বন্ধুর জন্য নিজ মনে স্মৃতি জেগেছে হাজারো বার, হয়তো তারও বেশি। কিশোর বয়সের বন্ধুত্বের প্রভাব এতটাই শক্তিশালী। তারাই হয়তো খুব সৌভাগ্যবান, যেসব বন্ধু কোনো না কোনো কারণে উচ্চশিক্ষার চৌকাঠ না ছুঁয়ে স্থানীয় শিক্ষাব্যবস্থার শেষ অবধি সম্পন্ন করে নিজ এলাকায় বিভিন্ন পেশাতে নিজেদের নিয়োজিত করেছেন এবং সেই বন্ধুরাই কিশোর বয়স থেকে এখনো তাদের প্রতিদিনের দেখা-সাক্ষাতের জীবন কাটাচ্ছেন।

উচ্চশিক্ষার বৃত্তেও কিছু ব্যতিক্রমী বন্ধুত্ব জন্ম নেয় বটে, কিন্তু শিক্ষা-দীক্ষা, চিন্তা-চেতনার পরিবর্তিত রূপ তৎপরবর্তী বাস্তব জীবনে পদার্পণ- সব মিলিয়ে এ বন্ধুত্বের বন্ধন এবং বিকাশ সংসারজীবনের আবর্তের মধ্য দিয়ে একটি লম্বা সময় পর্যন্ত ছন্নছাড়া হয়ে যায়। যদিও ঘর-সংসার সামাল দেওয়ার পরে ১৫-২০ বছর সময় অতিক্রম করে পুনরায় বন্ধুরা পুনর্মিলন এবং বাৎসরিক বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টা চালাতে শুরু করেন। কিন্তু তা নানা কারণে আগের অনুভূতির মতো অনুরণিত হয় না। এটা মূলত অনেকটাই পেশাজীবী বন্ধুত্বের রূপলাভ করে।

শিক্ষা এবং শিক্ষাক্ষেত্রকে কেন্দ্র করে প্রাসঙ্গিক বন্ধুত্বের প্রয়াস পৃথিবীর জন্মের পর থেকে মানবসভ্যতার একুশ শতক পর্যন্ত আসতে কমবেশি সবাই এমন বিষয়ের সাথে একমত হবেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এটি অনেক বেশি অর্থ বহন করে। আমরা  ডিজিটালাইজড শিক্ষাপদ্ধতির সাথে খুব বেশি দিন ধরে পরিচিত নই। দশ-পনেরো বছরের কিছু কিছু চর্চা আমাদের অনেকটাই অভ্যস্ত করে ফেলেছে। দ্রুত অভ্যস্ত হওয়ার প্রয়োজনটি করোনাকালে নতুন করে আমাদের সামনে জরুরি হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে অনলাইনভিত্তিক ক্লাস নেয়ার প্রক্রিয়া। ধারণা করা হয়েছিল দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ প্রভাব থেকে আমরা মুক্ত হলে সনাতনি ক্লাস  পদ্ধতিতে ফিরে যেতে পারব। কিন্তু বছর পেরিয়ে গেলেও নতুন নতুন ওয়েব বিশ্বকে যেভাবে শিক্ষা দিচ্ছে করোনার প্রভাব, আগামী বছর সময়টিতে ব্যাপৃত থাকলে নিঃসন্দেহে পুরো শিক্ষাব্যবস্থায় ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহারের আর কোনো বিকল্প থাকবে না।

প্রসঙ্গক্রমে আলোচনায় একটি বিষয় উল্লেখ করার মতো। বিবর্তনবাদে বিবর্তনের যে সময়ের ধারণা রয়েছে, তার শুরু ও শেষ সময়ের মধ্যবর্তী সময়ের পার্থক্য এত বেশি যে, একজন মানুষের স্বাভাবিক আয়ুষ্কালের মধ্যে সেটি প্রত্যক্ষ করার কোনো সুযোগ না থাকায়, বিবর্তন নিয়ে ধারণাটি সব সময়ই পরিষ্কার চিত্র উপস্থাপন না করে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি করে।

একজন মানুষের জীবদ্দশায় একটি বিশেষ পরিবর্তন যদি সামগ্রিকভাবে সংঘটিত হতে দেখা যেত, তাহলে বিবর্তনের বিশ্বাসটি মানুষের কাছে খুব সহজে ধরা পড়ত, মানুষও আস্থা অর্জন করতে পারত নিঃসংকোচে। ২০০-৪০০ বা হাজার বছর বা তারও অধিক সময় একটি বিবর্তন সম্পন্ন হয়। এত লম্বা সময় মানুষের কল্পনায় বাস্তবরূপ দান করা খুব কঠিন হওয়ার কারণে বিবর্তন নিয়ে মানুষের মনে নানা সন্দেহ ও বিতর্কের জন্ম দেয়। আমাদের সামনে একটি দারুণ সুযোগ এসেছে এ রকম একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বিবর্তনের সম্ভাবনাকে পরখ করার। বিগত ১৫ বছরের থেকে বর্তমান সময় এবং আগামী কয়েক বছর সময়ে যদি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায়, তাহলে আমরা একটি পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করব বলেই মনে হচ্ছে। অর্থাৎ সভ্যতার শুরু থেকে ২১ শতক পর্যন্ত চলে আসা একটি নিয়ম বা প্রক্রিয়া এখানে বিলুপ্ত হয়ে নতুন একটি রূপ লাভ করবে, যা পরবর্তী ৫০ বা ১০০ বছর পরে একুশ শতকের এই একুশ সালকে পরিবর্তনের বেজলাইন হিসেবে ধরে মূল্যায়ন করতে হবে। যে ক্ষেত্রে পরিবর্তন সাধিত হবে সে বিষয়টি হলো কিশোর বয়সে গড়ে ওঠা সেই বন্ধুত্বের ধরন।

বন্ধুর টানে, বইয়ের টানে, শিক্ষকদের মমতায় চিরাচরিত নিয়মে গড়ে ওঠা বন্ধুত্বের টানে প্রতিটি ছাত্রের প্রায় শতভাগ উপস্থিতি ক্লাসে লক্ষ করা যেত। বাড়িতে তার মন টিকত না, স্কুল ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করত না কোনোভাবেই। সেই সম্পর্কের নতুন এক রূপ আমাদের দেখতে হবে আগামী ডিজিটাল পদ্ধতির শিক্ষাব্যবস্থায়। বইবিহীন ও ক্লাসশিক্ষকের সরাসরি উপস্থিতির সুযোগবিহীন  কিশোরকে বড় করে তোলার একটি বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে দেখা দেবে। যান্ত্রিক যোগাযোগের মাধ্যমে কিছু বন্ধুত্ব তাদের হলেও সেই বন্ধুত্বের ধরন কেমন হবে, কী সমাচার- অগ্রিম মন্তব্য করা খুবই কঠিন। এমন বন্ধুবিহীন কিশোরকে জ্ঞানের মাধ্যমে মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলে রাষ্ট্র বা সমাজের কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থা কতটুকু কার্যকর হবে, সেটিও ভাবার সময় এসেছে। তাদের মনস্তত্ত্ব এবং আগামী সম্ভাবনাকে বিবেচনায় নিয়ে নতুন করে তাদের জন্য সিলেবাস প্রণয়ন এবং তা ডিজিটাল সিস্টেমে শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে উন্নত মননসম্পন্ন সুনাগরিক তৈরি করা নিঃসন্দেহে অতিমাত্রায় চ্যালেঞ্জিং।

বিশ্বসভ্যতার উন্নত দেশগুলো যারা অনলাইন সিস্টেম ডেভলপ করে ৩০ থেকে ৫০ বছর পার করেছে, তাদের শিক্ষার্থীদের গবেষণা করে আমাদের সংস্কৃতির বাস্তবতায় আগামী দিনের চ্যালেঞ্জকে সমন্বয় করে নতুন ব্যবস্থা প্রবর্তনের দিকে এখনই জোরালো গুরুত্ব দেওয়া উচিত। উপযুক্ত গবেষণা ছাড়া এমনিতেই শতভাগ মানুষকে শিক্ষিত করতে গিয়ে বর্তমান প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার মান নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে। কাজেই নতুন পদ্ধতিতে নতুন শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নতুন ব্যবস্থাপনায় এমনিতেই অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেই সাথে গবেষণা ছাড়া শুধু পরীক্ষামূলক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে গিয়ে আমরা যেন নতুন করে আর বিপাকে না পড়ি, সে বিষয়টি এখনই জরুরি ভিত্তিতে আমলে নেয়া দরকার। ক্লাসে গড়ে ওঠা বন্ধুত্বের সম্পর্ক সম্ভাবনা যেহেতু যথেষ্ট বাধাগ্রস্ত হতে পারে, তাই পারিবারিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা একজন শিক্ষার্থীকে উপযুক্ত করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অনেক বেশি স্পর্শকাতরতা বিবেচনায় নিতে হবে।

পারিবারিক পরিবেশ ও পরিবারের মানুষের শিক্ষাদীক্ষা, জ্ঞান-গরিমা এ ক্ষেত্রে অনেক বেশি সহায়ক হতে পারে। অভাব-অনটন, অস্বাচ্ছন্দ্য এবং পরিবারে শিক্ষিত মানুষের সংকট থাকলে সে পরিবারের একজন কিশোরের জন্য পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠা অনেক বড় চ্যালেঞ্জের। কোনো সতর্কতা অবলম্বন না করলেও, কোনো না কোনোভাবে একটি ব্যবস্থাপনা হয়তো গড়ে উঠবে, তবে তার পরিণতি খুব দুঃখজনক হতে পারে। কাজেই ভবিষ্যতে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে এমন বিষয়গুলো এখনই বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা বিষয়ক যেসব অথরিটি রয়েছে, তাদের অনেক গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে।

দেশপ্রেম ও মানবিক শিক্ষাকে পাঠ্য হিসেবে অনেক গুরুত্ব দেয়া দরকার। প্রচলিত পরিসরকে কমিয়ে এবং আবশ্যকীয় বিষয়গুলো বিবেচনা করা জরুরি, যেমন- ইংরেজি, বাংলা, গণিত, সমন্বিত প্রযুক্তি বিজ্ঞান, ঐচ্ছিকবিদ্যা। ঐচ্ছিকবিদ্যার মধ্যে দেশপ্রেম, মানবিক জ্ঞান, সমাজ, রাজনীতি, ইতিহাস, নৈতিক শিক্ষা ইত্যাদির প্রাথমিক ধারণা সন্নিবেশ করা যেতে পারে। অন্তত মাধ্যমিক স্কুল পর্যন্ত এর চেয়ে বেশি নয়।

প্রতিটি স্কুলের নিজস্ব অ্যাপস থাকা আবশ্যক। নিজস্ব সার্ভার সিস্টেম রাখতে হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে অন্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার সুযোগ নেই। শিক্ষক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থায় প্রত্যেককে তার নিজের পাঠদান তৈরি থেকে ডেলিভারি দেওয়া, তার মূল্যায়ন করা এবং ফলাফল প্রদান করার কাজটি ব্যক্তিগতভাবে করার উপযুক্ত হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করতে হবে।

আমার আশঙ্কা, অমূলক ও মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে সবকিছু আগের মতো ঠিকঠাক হয়ে যাবে সেটি আমিও প্রত্যাশা করি। হোক বা না হোক, শিক্ষাব্যবস্থা নতুনভাবে ভাবা যেতেই পারে। একটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা এবং তার সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমাজের সব মানুষের মানসিক উৎকর্ষ বর্ধনের লক্ষ্যে এখন থেকেই আমাদের অনেক বেশি আগ্রহী হতে হবে, যার কোনো বিকল্প নেই।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে শিক্ষাব্যবস্থার অবকাঠামোগত পরিবর্তন ঘটানো অত্যন্ত জরুরি। ভবিষ্যতে করোনার মতো এমন আরও অনেক কিছুই ঘটার যথেষ্ট আশঙ্কা আছে। তাই এখনই সঠিক সময় ঘুরে দাঁড়ানোর।

আমাদের মতো দেশগুলোতে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে সাধারণভাবে সর্বোচ্চ মেধাবীরা তেমন আগ্রহী নয়। ঠিক এখানেই আমাদের প্রধান অবক্ষয় ঘটছে। শিক্ষকতা পেশা সাধারণত  তুলনামূলক বিকল্প হিসেবে পছন্দের নিচের দিকেই আছে মেধাবীদের কাছে। তাই বর্তমানের বেশির ভাগ শিক্ষকের মাঝে পেশাদারির অভাব সহজেই লক্ষণীয়। এই অবক্ষয় থেকে বেরিয়ে আসতে হলে প্রথমেই শিক্ষকতাকে সমাজের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সংরক্ষিত নিয়োগপ্রক্রিয়া শিক্ষাব্যবস্থার মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে খুব একটা আশাবাদী হওয়া যেমন নিরুৎসাহিত করে, তেমনি উপযুক্ত প্রশিক্ষণের অভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বেশির ভাগই তেমন একটা কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা রাখতে পারছেন না বলেই মনে হয়। তাই, দেশের সর্বোচ্চ মেধাবীদের শিক্ষাব্যবস্থার সাথে দ্রুত সম্পৃক্ত করা আবশ্যক।

প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। প্রয়োজনের অতিরিক্ত সংখ্যক স্কুল না রেখে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়গুলোর পরিসীমা বিস্তৃত করা যেতে পারে। মানবিক বিকাশের প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ পাঠ্যক্রমভুক্ত করা আবশ্যক। প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার বাইরে গিয়ে প্রাথমিক শিক্ষার পরপরই প্রযুক্তিগত কারিগরি শিক্ষার সংযুক্তিও থাকা প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরীক্ষানির্ভর পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে মেধাযাচাইয়ের কর্মশালামূলক ব্যবস্থার কথা ভাবা যেতে পারে।

প্রকৃতপক্ষে, শিক্ষাব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে আমাদের। ঢেলে সাজাতে হবে নতুন করে। আর এই শিক্ষা বলতে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নয়, সামাজিক, মানবিক সর্বোপরি প্রকৃত আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার বাস্তব প্রয়োগের মাধ্যমেই আমাদের জাতিগতভাবে সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব। ইতোমধ্যে সরকার এ লক্ষ্যে কিছু ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চলেছেন যা সাধুবাদযোগ্য। পরিবর্তিত শিক্ষাব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গড়ে উঠুক মানবিক সম্পর্কের সুদৃঢ় বন্ধুত্বের বন্ধন।

লেখক: পুলিশ সুপার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।