অধিকার বুঝে নাও কর্তব্যের সম-অনুপাত

প্রকাশ | ১০ জানুয়ারি ২০২১, ২০:২৩

ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া

একটু একটু করে জীবনের ভাষা বুঝে নাও,

একটু একটু করে আশার সীমানা  খুঁজে নাও।

এক পা  দু পা করে পা বাড়াও অন্তহীন দুর্গম পথে

সোয়ারি  হবে না  তুমি  রাবণের  পুষ্পক রথে।

তোমার যাত্রা হবে  উদোম পা-দলে;

ঝড় বৃষ্টি খরা শৈত্যে দাবানলে।

একটু একটু করে মানুষকে ভালোবাসা দাও,

অন্যের উচ্চ কারনে নিজের তুচ্ছ স্বার্থ বিকাও।

বিন্দু বিন্দু করে প্রেম দিয়ে পূর্ণ করো জীবনের ঘড়া,

বিশ্বাস পলকা হলে প্রেম থাকে প্রেমীর অধরা।

প্রাণের ভিত্তি যখন নির্মল শ্বাস;
প্রেমের ভিত্তি তখন আস্থা-বিশ্বাস,
প্রাণময় প্রেম জীবনের নির্যাস।
প্রাণহীন দেহ কাদা-পুত্তুলি লাশ,
প্রেমহীনতায় জীবনের অর্থ বিনাশ।
প্রেমহীন আয়ূ বায়ূর বেলুন; যেখানে দমের নেই ঠিক ঠিকানা,

প্রেমের জন্যে দম লাগে, ত্যাগের বস্তিতে প্রেমের বাস্তু-আস্তানা।

রত্তি রত্তি করে সঞ্চয় করো ঘামঝরা অর্থ-বিত্ত,

বিত্তের বেসাতি ছেড়ে সে বিত্ত করে যেনো আত্মার আতিথ্য।

পৃথিবীর মানচিত্র থেকে একে একে মুছে ফেলে

মাটির কণায় কণায় আঁকা বিভেদের সীমান্ত রেখা,

এঁকে দাও মানবিক সীমা,  ভ্রাতৃত্বের অক্ষ-দ্রাঘিমা।

উদার জমিন গা এলিয়ে  উদোম পড়ে থাক,

বুকের পাঁজরের  হাড়ে আঁকা হবে গ্লোবের ছোটো-বড়ো আঁক।

মিলনের মোহনায় সুখের পেয়ালায় দিয়ে উষ্ণ চুমুক,

আনন্দ-অশ্রু ফোঁটায় ফোঁটায় ধুয়ে দিক  আলিঙ্গনের বুক।

‘নাচাতে গেলে নাচতে হয়, বাঁচতে হলে বাঁচাতে হয়’;

সেই গান গাওয়া ময়নাটার খাঁচা খুলে দাও,

তোমার মনের খাঁচার সোনার মাচায়

সেই গানটাকে পাখি করে নাও।

কর্মের কুরুক্ষেত্রে এখন তুমি পার্থ-সারথি,

কর্মই এখন তোমার অনিবার্য পরিনতি।

তোমার পথে আলো জ্বালায় পরম অভিজ্ঞ অতীত,   এখন তুমিই তোমার যোগ্য পথিকৃৎ।  

এবার একটা একটা করে বুঝে নাও কর্মের আছে যতো খাত,

অধিকারও বুঝে নাও; কর্তব্যের সম-অনুপাত।