অর্থ আত্মসাতে সাঈদীসহ ছয়জনের বিচার শুরু

প্রকাশ | ১১ জানুয়ারি ২০২১, ১৪:৫১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে জাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

সোমবার ঢাকার এক নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক সৈয়দা হোসনে আরা কারাগারে থাকা এ আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন। এর মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচার কার্যক্রম শুরু হলো।

পুরান ঢাকার বকশীবাজারস্থ আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে এদিন এ মামলায় চার্জগঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আসামি সাঈদীর পক্ষে আইনজীবীরা মামলায় তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করেন। পরে আদালত আবেদন নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।

একইসঙ্গে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা সাঈদীকে বিচারক অভিযোগ পাঠ করে দোষী না নির্দোষ জিজ্ঞাসা করলে সাঈদী নিজেকে নির্দোষ দাবি করলে আদালত ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জাকাত বোর্ডের অর্থ আত্মসাতের এ মামলায় সাঈদীসহ আসামি ছয়জন। অপর পাঁচ আসামি হলেন-ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুল হক, মসজিদ কাউন্সিল ফর কমিউনিটি এডভান্সমেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, বন্ধুজন পরিষদের প্রধান সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুস, ইসলামী সমাজ কল্যাণ কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ কাউন্সিলের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল হক। আসামিদের মধ্যে সাঈদী কারাগারে এবং আবুল কালাম আজাদ পলাতক রয়েছেন। অপর চার আসামি জামিনে রয়েছেন।

ইফার জাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) আইয়ুব আলী চৌধুরী ২০১০ সালের ২৪ মে শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ২০০৫-০৬ অর্থ বছরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জাকাত বোর্ডের ১ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার  টাকা এবং ২০০৪-০৫ অর্থ বছরের ১৩ লাখ টাকাসহ যাকাত তহবিলের মোট ১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার দেশের ৬৪ জেলায় গরিব ও দুস্থদের না দিয়ে নিজেদের দলীয় প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ করে আত্মসাৎ করেন। উক্ত অর্থের মধ্যে সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশারেফ হোসেন শাহজাহান জাতীয় বন্ধুজন পরিষদ ভোলার অনুক’লে ৫০ লাখ, কাঠালিয়া মুসলিম এ কে ইনস্টিটিউটের অনুক’লে ৬ লাখ ৫০ হাজার, মাওলানা আবুল কালাম আজাদের মসজিদ কাউন্সিল ফর কামউনিটি এডভান্সমেন্টের অনুকূলে ৪৫ লাখ, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির তৎকালীন সভাপতি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ইসলামী সমাজ কল্যাণ কেন্দ্র পিরোজপুরের অনুকূলে ৫ লাখ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুতফুল হকের দারুল কারার সোসাইটি, শরিয়তপুরের অনুকূলে ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করেন।

মামলাটি তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

ঢাকাটাইমস/১১জানুয়ারি/আরজে/এমআর