প্রেম বোঝে না সুবিধা কিংবা হিসাবের মুসাবিদা
তোমাকে যখন প্রথম দেখেছি, এক পলকেই
আচমকা কী এক বিজলি চমকের শিহরণে
গ্রেফতার হলো আমার বুকের ধুকধুক,
আজব এক সুখ-সুখ ভাব কেড়ে নিলো নিয়মের যত্তোসব সুখ।
সেই থেকে আজ অব্দি যতো ভাবছি;
কূল কিনারা মিলে না ভাবনার দরিয়ার।
উথাল পাথাল ঢেউ ভেঙে এগুনোর বল নেই বুকে।
মনের মধ্যে জমে আছে প্রশ্নের হিমেল পাহাড়,
সে পর্বত আহরণের শক্তি নেই এতোটুকু শরীরে আমার।
আগুপিছু ভাবনার অথৈ সাগরের জল ঢোকে ঢোকে গিলে গিলে
পার করে দেবো বুঝি অকম্মার অযুত শতাব্দি?
মনের আকাশে প্রশ্নের পূর্ণিমা চাঁদ যতো তাড়াতাড়ি উঁকি দেয়
জবাবের জোয়ারের সাড়া কখনো মিলে না ততো সহসা।
মন বলে, মনের কাছে জেনে নাও কিসে ওর সায়,
কেবল মনই নেয় ভালো-মন্দ বিচারের দায়,
ওর ওকালতি মেনে ঝাঁপ দাও উতল সায়রে,
বুকের খাঁখাঁ ভাবটা যদি প্রেমই হয়ে থাকে
আখের পেয়ে যাবে প্রিতমার সন্ধান,
ধ্রুবতারা সেই ঘাটে ঢেলে দেবে সার্চলাইটের ফকফকা আলো।
ঢেউয়েরা যুক্তি করে সেই ঘাটে ভিড়াবে তোমার
সংকোচের দোদুল্য সাম্পান।
মনের মুন্সেফের মন্ত্রণা মানো,
তারার টিপ পরিয়ে দাও প্রেমের কপালের কপালে,
জোছনার সিঁদুরে ভরে দাও ওর সিঁথির বিশ্বস্ত গিরিপথ।
মন যখন শেষ রায় দেয়,
তখন সে কেবল প্রেমের একতরফা শুনানিই নেয়।
ভালো-মন্দের অর্থ তখন ভিন্ন অর্থ পায়,
মন্দ-ভালো সে সব তো প্রাত্যহিকের বালাই,
সেই বৃত্তে প্রেমের মতো পরমের নেই যুতসই ঠাঁই।
প্রেম কেবল প্রেমেই দেখে বেঁচে থাকবার একমাত্র উপায়।
প্রেমকে পাশে সরিয়ে যতো ভাবি; কোথায় সুবিধা!
পদে পদে আমাকে কান ধরে টেনে নেয় রাজ্যের দ্বিধা,
তাই প্রেমের জন্য রেখে যোগ্য কদর,
হিসাবের বাকি খাতে করে যাই নানা মুসাবিদা।