বার্ড ফ্লুতে ডিম খাওয়া কতটা নিরাপদ জানালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০২১, ১১:১২

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে। প্রতিনিয়ত করোনাভাইরাস রূপ বদল করে মারাত্মক আকার ধারণ করছে। করোনার মধ্যেই চারিদিকে নতুন করে আতঙ্ক বেড়েছে বার্ড ফ্লুর।

বার্ড ফ্লু এইচ৫এন১ ভাইরাসজনিত কারণে হয়। বার্ড ফ্লু যখন মানুষের মধ্যে প্রবেশ করে তখন তা মারাত্মক হতে পারে। বার্ড ফ্লু ভাইরাস মানুষের জন্যও প্রাণঘাতী হতে পারে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশে বার্ড ফ্লুর সংক্রমণ শুরু হয়েছ। জানা গিয়েছে, মৃত পাখিদের শরীরে এইচ৫এন১ ভাইরাস মিলেছে। এই ভাইরাসের মারণ কোপে পাখিদের হচ্ছে শ্বাসকষ্ট, হু হু করে সংক্রমিত হচ্ছে একের পর এক পাখি। যার পর মৃত্যু হচ্ছে।

বিভিন্ন দেশে মুরগী, পায়রা ও পরিযায়ী পাখিদের মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়াতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চিকিত্সকরা বলছেন, বার্ড ফ্লুতে মানুষের আক্রান্ত হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই ভাইরাস মানুষের জন্যও প্রাণঘাতী হতে পারে। হিউম্যান ট্রান্সমিশন হলে ভয়ঙ্কর অসুস্থ হতে পারেন যে কোনও ব্যক্তি।

এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেকের মনেই প্রশ্ন জাগছে, তাহলে কি মুরগির মাংস আর ডিম খাওয়া বন্ধ? হাঁস-মুরগির মাংস ও ডিম খেলে কি বার্ড ফ্লু হতে পারে? অনেক মানুষ ইতিমধ্যেই ভয়ে মাংস আর ডিম খাওয়া প্রায় ত্যাগ করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় এই সমস্ত জিনিসের দামও কমেছে। এনিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিছু পরামর্শ দিয়েছে সেগুলো হলো-

মুরগির মাংস বা ডিম ঠিকমতো রান্না করে খেলে কোনও সমস্যা নেই। রান্না করার সময় তাপমাত্রা হয় সাধারণত ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাংসের সমস্ত অংশের তাপমাত্রা যদি ৭০ ডিগ্রিতে পৌঁছয়, তাহলে ভাইরাস আর বেঁচে থাকতে পারে না।

মাংস রান্নার আগে ভালো করে ধুয়ে নেওয়ারও পরামর্শ দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

কাটা মুরগি না কেনাই যথাযথ বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

কাঁচা, আধ সিদ্ধ ডিম খাওয়া যাবে না।

কাঁচা মাংস যে পাত্রে রাখবেন, সেই পাত্রে অন্যকিছু বা রান্না করা মাংস রাখবেন না।

পোলট্রিজাত পাখি হাতে নেওয়ার পর অন্তত ২০ সেকেন্ড গরম পানি দিয়ে হাত ধুয়েই রান্না করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, পোলট্রিজাত খাবার ভাল করে রান্না করে খেলে, বার্ড ফ্লু সংক্রমণের কোনও ভয় নেই! তবে অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/১২জানুয়ারি/আরজেড/এজেড)