সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানকে নিয়ে উৎপল শুভ্র

কী জাদুমন্ত্রবলে সবার হৃদয়ে ঢুকে গেছেন, মিজান ভাই!

প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০২১, ২২:৫৭ | আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২১, ১৬:৪৪

উৎপল শুভ্র
সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান

মিজান ভাই, আপনি এখন কোথায়? সুপ্রিম কোর্ট, ডিআরইউ, প্রেসক্লাব ঘুরে প্রথম আলোতে? তাহলে তো রুটিন ঠিকই আছে। আজ একটু আগেভাগেই অফিসে ফিরলেন, এই তো! সাত তলায় গেলেই তাহলে আপনার সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

এরপর কী হবে, তা তো জানাই। আপনি আপনার ট্রেডমার্ক হাসিটা দিয়ে বলবেন, 'শুভ্রদা, কেমন আছেন?' আমি আমার স্বভাবমতো সোজা উত্তর না দিয়ে দুষ্টুমি করব। আপনি আবার হাসবেন।

এই হাসিটা রসিকতার মাত্রাভেদে কখনো কখনো বিলম্বিত হবে। আপনার প্রতিক্রিয়া দেখেই আমি বুঝে ফেলব, রসিকতাটা বুঝিয়ে বলতে হবে কি না। এমন তো কতই হয়েছে, কোনো একটা রসিকতা করার পর আপনি ভাবলেশহীন মুখে তাকিয়ে আছেন। রসিকতা করার পর তা ব্যাখ্যা করে বোঝানোর মতো বিড়ম্বনা আর নেই। কিন্তু আপনার ক্ষেত্রে আমি সানন্দে তা করতাম। যা শোনার পর আপনি বিখ্যাত সেই ঠা-ঠা হাসি দিয়ে কতবারই তো বলেছেন, 'শুভ্রদা, আপনি খুব রসিক লোক।'

একদিন তা শুনে আমি সিরিয়াস মুখ করে বললাম, 'মিজান ভাই, আপনার আগে আমাকে কেউ এই কমপ্লিমেন্ট দেয়নি। একটা কাগজে কথাটা একটু লিখে দিন না! আমি সবাইকে দেখাব।'

আপনি খুবই আশ্চর্য হয়ে বললেন, 'কী বলছেন! এটা লিখে দিতে হবে কেন? আপনার কথায় তো সবাই মজা পায়।' বলার পর পাশে বসে থাকা জাকারিয়া না কার কাছ থেকে যেন কথাটার সমর্থনও চাইলেন।

লেখার জন্য আপনার অনেক মানুষের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে হতো। আর আপনি ফোনে কথা বলা মানেই পুরো ফ্লোর বাধ্যতামূলক শ্রোতা। একদিন আপনার উচ্চৈঃস্বরে দীর্ঘ কথপোকথন মাত্র শেষ হয়েছে। আমি আপনাকে গিয়ে বললাম, 'মিজান ভাই, ফ্রি থাকলে আপনাকে একটা গল্প বলি।'

আপনি খুব আগ্রহ দেখালেন, 'বলুন, বলুন।'

গল্পটা উইনস্টন চার্চিলের। একদিন চার্চিল কিছু একটা করছেন। একটু দূরেই একজন ফোনে উচ্চৈঃস্বরে কথা বলছেন। কিছুক্ষণ পর চার্চিল একজনকে ডেকে বললেন, 'টেল দ্যাট ম্যান টু ইউজ দ্য ফোন।'

গল্পটা বলে আমি একটু ভয়ে ভয়ে আপনার দিকে তাকিয়ে আছি। আপনি না আবার মাইন্ড করে বসেন! কিন্তু আপনার মুখ দেখে বুঝলাম, গল্পটা যে এখানেই শেষ, তা আপনি বুঝতেই পারেননি। আরও কিছু শোনার জন্য উৎকর্ণ হয়ে আছেন। যখন বুঝিয়ে বললাম, গল্পটা এখানেই শেষ এবং এখানে আপনার জন্য একটা মেসেজ আছে। আমার মনে হয়, আপনারও কথা বলার সময় ফোনটা ইউজ করা উচিত। আপনি অবাক হয়ে বললেন, 'কেন, আমি তো ফোনেই কথা বলছিলাম।'

যারা শুধু লেখা পড়ে বা টিভিতে টক শো শুনে আপনাকে চেনে, তাদের কাছে আপনার এই প্রতিক্রিয়া অবিশ্বাস্য মনে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আপনার আগ্রহের মূল বিষয় আইন-আদালত-সংবিধান-মুক্তিযুদ্ধের সময় পরাশক্তিগুলোর ভূমিকা সম্পর্কে পাণ্ডিত্যে রূপ নেওয়া আপনার জানা-বোঝা এবং দারুণ বাচনভঙ্গিতে তা বুঝিয়ে বলার ক্ষমতার সঙ্গে এ সব মেলানো তো আসলেই কঠিন।

যারা আপনার সংস্পর্শে এসেছে, তারাই না শুধু জানে, আপনার লেখার বিষয় আর লেখার ভাষা যতটা জটিল ছিল, মানুষ হিসাবে আপনি ছিলেন ততটাই সরল। কপটতা আর প্যাঁচঘোচে ভরা তথাকথিত এই আধুনিক নাগরিক জীবনে মাঝে মাঝে আপনাকে এক 'অনাসৃষ্টি' বলে মনে হতো। অনাসৃষ্টি কোন অর্থে, তা তো আপনি বুঝতেই পারছেন মিজান ভাই। নাকি এটাও বুঝিয়ে বলতে হবে?

আপনি ছিলেন শুধুই আপনার মতো। বন্ধু মিটুন মানে আনিসুল হক প্রায়ই বলত, মিজান ভাই পুরো উপন্যাসের এক চরিত্র। আপনার সারল্য আর ভুলোমন নিয়ে কতজন কত কিছু লিখছে। প্রথম আলোর প্রায় সবারই তো আপনাকে নিয়ে কোনো না কোনো গল্প আছে। দেবব্রত মুখোপাধ্যায় যেমন লিখেছে, আপনার সঙ্গে অনেকবার আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচিতিপর্ব সারার পরও প্রতিবারই আপনাকে নতুন করে পরিচয় দিতে হতো ওকে। জামিল বিন সিদ্দিকের গল্পটা তো আমার মতো আপনার পুরনো সহকর্মীদের সবারই জানা। প্রথম আলো তখন সিএ ভবনে। আপনি আর জামিল একই ফ্লোরে বসেন। একদিন জামিলকে গিয়ে আপনি বলছেন, 'আচ্ছা, আমাদের অফিসে জামিল বিন সিদ্দিক নামে নাকি একজন আছেন। শুনলাম, উনি চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। সবাই তো বলছে, উনি ভালো কাজ করতেন। তাহলে তাঁকে চলে যেতে যাওয়াটা কি ঠিক হবে?'

জামিলের জন্য জামিলকে চলে যেতে দেওয়াটা ঠিক হবে কি না, এই উত্তর দেওয়াটা তো একটু কঠিনই ছিল। প্রাথমিক বিস্ময়টা সামলে ওঠার পর জামিল নিজের পরিচয় প্রকাশ না করে তৃতীয় পক্ষ হয়ে আরও কিছুক্ষণ এই আলাপচারিতা চালিয়ে গেছে। পরে আমরা যা শুনে হেসে কুটিকুটি।

কার লেখায় যেন সিএ ভবনেরই আরেকটা গল্প পড়লাম। লিফটের দরোজা বন্ধ, কিন্তু সেটি গ্রাউন্ড ফ্লোরেই স্থির হয়ে আছে। বাটন টিপে লিফট খোলার পর আবিষ্কৃত হলো, আপনি ভেতরে দাঁড়িয়ে। লিফটে উঠেছেন, কিন্তু বাটন টিপতে ভুলে গেছেন। অন্য কেউ এই কাণ্ড করার পর আপনার নামে চালিয়ে দিলেও আমরা অবলীলায় তা বিশ্বাস করতাম। আপনি তো এমনই ছিলেন। আলাভোলা, অ্যাবসেন্ট মাইন্ডেড প্রফেসর....।

আপনাকে দেখলেই মনে হতো, একটা ঘোরের মধ্যে আছেন। তা আপনি তো ঘোরের মধ্যেই থাকতেন। সাংবাদিকতার ঘোর। লেখার নতুন বিষয় খোঁজার ঘোর। আপনার মতো সাংবাদিকতায় এমন আকণ্ঠ নিমজ্জিত মানুষ আমি আর দেখিনি। চটজলদি সাংবাদিকতার প্রচলিত ধারার বিপরীতে আপনি মূর্তিমান এক ব্যতিক্রম। তথ্যউপাত্ত ঘেঁটে, এক্সপার্টদের কাছে বুঝেশুনে লেখার ওল্ড ফ্যাশনড জার্নালিজমের এক প্রতিভূ ।

আপনার কথাবার্তা, চলাফেরা সবকিছুতেই একটা মজা ছিল। তবে কোনটা আমার সবচেয়ে প্রিয়, তা কি কখনো আপনাকে বলেছি, মিজান ভাই? লেখার কোনো নতুন বিষয় বা কারও সঙ্গে কথা বলার পর সেটির সারাৎসার মতি ভাইকে জানানোর ভঙিটা। বুকের কাছে দুই হাত, আঙুলগুলো আলিঙ্গনাবদ্ধ, কোন সুদূরের দিকে তাকিয়ে প্রমিত উচ্চারণে আপনি কথা বলে যাচ্ছেন। 'সারাৎসার' বলেছি, কিন্তু আসলে তো কারও সঙ্গে আপনার কথপোকথনের পুরো বিবরণই পাওয়া যেত তাতে।

আমি ফোন করে ওনাকে বললাম,...।

উনি বললেন,...।

আমি যখন পাল্টা প্রশ্ন করলাম,.... উনি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলেন। বুঝতে পারলাম, উনি একটু ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

লিখতে গিয়েই বুঝলাম, এটা আসলে লিখে বোঝানো সম্ভব নয়। মিজান ভাই, আপনি তো আপন মনে কথা বলে যেতেন, আমাদের দৃষ্টি বিনিময় আর মতি ভাইয়ের মুখে ফুটে ওঠা মৃদু হাসিটা আপনার চোখেই পড়ত না। সেই হাসি প্রশ্রয়ের হাসি। স্নেহের হাসি। মতি ভাইয়ের সঙ্গে আপনার সম্পর্কটা প্রফেশনাল সম্পর্কের সীমা ছাড়িয়ে অনেকটা পিতা-পুত্রের রূপ নিয়েছিল। চরিত্রে আপনারা দুজন বিপরীত মেরুর। মতি ভাই শৃঙ্খলাবদ্ধ মানুষ, যাঁর সবকিছু একেবারে টিপটপ গোছানো। আর আপনি তো আপনিই....মতি ভাইয়ের ভাষায়, 'আউলা ঝাউলা।' মতি ভাইয়ের সঙ্গে আপনার সম্পর্কে তাই টক-ঝাল-মিষ্টি সব উপাদানই ছিল। শুধু আপনার অনন্য কিছু গুণের কারণেই মতি ভাই টক-ঝাল হয়ে শেষ পর্যন্ত মিষ্টিতে আসতে বাধ্য হতেন।

'মিজানের সঙ্গে তো আমি....দিন ধরে কথা বলি না'---মতি ভাইয়ের মুখে কতবার যে কথাটা শুনেছি, তার কোনো হিসাব নেই। দিনের আগে ডট ডট দেওয়ার কারণ, সংখ্যাটা নিয়ত পরিবর্তনশীল ছিল। কতবারই তো এমন হয়েছে, সকালে এই কথা শুনেছি, রাতে দেখি, মতি ভাইয়ের রুমে আপনি। কিছু একটা বলছেন আর মতি ভাই গভীর মনোযোগে তা শুনছেন। সঙ্গে সঙ্গেই বুঝে ফেলতাম, মাঝখানে কয়েকদিন অফিসে আসা-যাওয়ার সময়-টময় ভুলে গিয়ে আপনি এমন কিছু বের করে এনেছেন যে, মতি ভাইয়ের আর মনেই নেই, আপনার সঙ্গে বাক্যালাপ বন্ধ রাখার সময়টা তিনি এবার অনেক দীর্ঘ করতে চেয়েছিলেন।

এডিটরিয়ালে কাজ করতেন, আবার প্রথম পাতার জন্য দারুণ সব রিপোর্টও। সিরিজ রিপোর্ট তো করেছেন অসংখ্য। স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল দারুণ সব ইন্টারভিউ। আপনার অফিস টাইমের তাই কোনো ঠিকঠিকানা ছিল না। আপনাকে গভীর রাত পর্যন্ত অফিসে দেখতাম বলে প্রথম আলোতে আপনাকে সহকর্মী হিসাবে পাওয়ার দীর্ঘদিন পরও আমার ধারণা ছিল, আপনি বিয়েশাদী করেননি, সংসারও করেন না। বিয়ে যে করেছেন, তা জানার পরও সংসার যে করেন না, তা ঠিকই বুঝতাম। এ নিয়ে আপনার সঙ্গে রসিকতাও করেছি, 'মিজান ভাই, সেই সকালে বেরিয়ে এত রাতে বাসায় যাবেন, ভাবী আপনাকে ঘরে ঢুকতে দেবে তো?'

ভাবীর সঙ্গে সেভাবে পরিচয় নেই, তবে তাঁকে জিজ্ঞেস না করেই লিখে দিতে পারি, তিনিও নিশ্চয়ই বুঝে ফেলেছিলেন, সাংবাদিকতাই আপনার ঘরসংসার।

সাংবাদিকতাকে আপনি যেমন দিয়েছেন, সাংবাদিকতাও আপনাকে তার প্রতিদান দিয়েছে। আপনার প্রতি মানুষের এই যে উপচে পড়া ভালোবাসা, বাংলাদেশের কজন সাংবাদিক তা পেয়েছে! এমন সিরিয়াস বিষয় নিয়ে লেখালেখি করার পরও পুরো দেশ আপনাকে এক নামে চেনে। শুধু নামে চেনার বদলে যাদের আপনার সঙ্গে একটু মেশার সুযোগ হয়েছিল, কী এক জাদুমন্ত্রবলে তাদের সবারই তো দেখি হৃদয়ে ঢুকে গেছেন আপনি।

সামনাসামনি এই কথাটা বললে আপনার কী প্রতিক্রিয়া হবে, তা আমার জানা। প্রথমে একটু লজ্জা পাবেন, তারপর উল্টো ভরিয়ে দেবেন প্রশংসায়। অথচ খেলা বা খেলার লেখা নিয়ে আপনার খুব একটা আগ্রহ আছে বলে কখনো কোনো প্রমাণ পাইনি। হ্যাঁ, একবার আগ্রহ দেখেছিলাম। কারণটা তো অনুমেয়ই। মাঠের বদলে খেলা যে ট্রাইব্যুনালে গড়িয়েছে। বিপিএলে ফিক্সিংয়ের অভিযোগে আশরাফুলদের যখন বিচার হচ্ছে, তখন এ নিয়ে আপনার কত প্রশ্ন। খেলার খবর না রাখলেও ফিক্সিংয়ের দায়ে ইংল্যান্ডে আমির-আসিফদের জেল খাটার খবরটা ঠিকই জানতেন। উপমহাদেশে তাহলে ফিক্সিংয়ের জন্য জেল হয় না কেন---এটাই ছিল আপনার পরিকল্পিত লেখার প্রতিপাদ্য। কোনো কিছু নিয়ে লেখার আগে বিষয়টার একেবারে গভীরে না ঢোকা পর্যন্ত আপনি শান্তি পেতেন না। ফিক্সিংয়ের শাস্তি দিয়ে শুরু করে আপনি তাই আইসিসি, ইসিবি, বিসিবির কার্যপরিধি; ক্রিকেটের কোড অব কনডাক্ট এ সব নিয়ে প্রশ্নের পর প্রশ্নে আমাকে যাকে বলে একটু জর্জরিতই করে তুলেছিলেন। আপনার ফোনের পর ফোন পেয়ে এক সময় তাই আমি হাত তুলে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিলাম, ' মিজান ভাই, আমি আপনার মতো আইনকানুন, অমুক ধারা, তমুক ধারা মুখস্থ রাখতে পারি না। আপনাকে লিংক পাঠিয়ে দিচ্ছি, আপনি দেখে নিন।' এরপর যেদিন দেখা হলো, আপনি সারল্যমাখা হাসিটা দিয়ে বললেন. 'আপনাকে আমি খুব বিরক্ত করেছি, তাই না?' আমি আসলেই বিরক্ত হইনি। এটা বোঝানোর সময়ই আমার একটা উপলব্ধি হলো, আলাভোলা এই লোকটা অনেক কিছুই ভুলে যায়, কিন্তু সাংবাদিকতার সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু ভোলে না। নইলে আমি বিরক্তি প্রকাশ না করার পরও তা অনুমান করে নিয়ে সেটি মনে রাখলেন কীভাবে!

মিজান ভাই, আপনার সঙ্গে আরেকটা আলাপচারিতার কথা খুব মনে পড়ে। ২০১৯ সালের শুরুর দিকে প্রথম আলো থেকে বেশ কয়েকজনের চাকরি চলে গেছে। অফিসে চরম অস্থিরতা। ওই ডামাডোলের মধ্যে হুট করে আমিও একদিন সম্পাদকের হাতে রেজিগনেশন লেটার দিয়ে বসলাম। অফিস তো করে যাচ্ছি এরপরও। একদিন রাতে আপনি আর আমি একসঙ্গে নিচে নেমেছি। অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে আপনি এটা-ওটা বলতে বলতে হঠাৎ জিজ্ঞেস করলেন, 'আচ্ছা শুভ্রদা, প্রথম আলোতে যা হচ্ছে, এটাকে কি আমরা গ্লাসনস্ত বা পেরোস্ত্রোইকা বলতে পারি?'

আমি পৃথিবীকে বদলে দেওয়া গর্বাচেভের দুই সংস্কারের সঙ্গে প্রথম আলোর কয়েকজনের চাকরি যাওয়া না-যাওয়াকে কীভাবে মেলানো যায়, তা বুঝতে না পেরে হো হো করে হেসে ফেললাম। প্রথমে একটু বিব্রত হলেও পরে আপনিও যোগ দিলেন সেই হাসিতে।

মিজান ভাই, আপনার ওই হাসি অনেক দিন দেখিনি। আপনার সঙ্গে সর্বশেষ দেখা হওয়ারও তো প্রায় এক বছর হতে চলল। তারপরও আমি কিন্তু আপনাকে আজ দেখতে যাইনি। একবার যেতে চেয়েছিলাম। তারপর মনে হলো, থাক্, গিয়ে কাজ নেই। আপনার হাসিমুখ তো দেখতে পাব না। দেখা তো একদিন হবেই, তাই না মিজান ভাই? [ লেখকের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেওয়া]

লেখক: প্রখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিক।