কবিতা
সসীম অসীমের ফারাক: জ্ঞানের অনুষঙ্গ
প্রকাশ | ১৩ জানুয়ারি ২০২১, ১২:৫৫
মানুষ গুনতে পারে আকাশের নীলে ভাসে
কতোগুলো মেঘের ভেলা,
বিধাতা জানেন কোন জলের বাষ্প করে
মেঘের শরীর জুড়ে খেলা।
মানুষ গুনতে পারে সাগরের বুকে ভাঙে
কতো ঢেউ কতোটা উচ্চে,
বিধাতা জানেন মোট কতোটা জলের কণা
উত্তাল ঊর্মির পুচ্ছে।
মানুষ হয়তো জানে আকাশে জ্বলছে কতো
মিটিমিট জোতিষ্ক-তারা,
বিধাতা জানেন এরা কোথায় পেয়েছে এই
আলোকের অশেষ ফোয়ারা।
মনুষ গুনতে পারে কি বাহারে কোন নামে
কতো ফুল ফোটে গাছে গাছে,
কোন ফুলে ফল হবে,সে হিসেব গন্ডা-কড়া
বিধাতারই খেয়ালের কাছে।
মানুষ গুনতে পারে সুদূর আকাশ জুড়ে
কতো পাখি ডানা মেলে উড়ে,
বিধাতা জানেন এরা কতো পথ পাড়ি দিয়ে
আসবে নিজের নীড়ে ফিরে।
মানুষ গুনতে পারে কোন গাছে কতোগুলো
ডাল-পালা পল্লব-পাতা,
পাতাদের গায়ে গায়ে কতোগুলো শিরা উপশিরা;
সেই সংখ্যা জানেন বিধাতা।
মানুষ মাপতে পারে দৈর্ঘ-প্রস্থে কতো বিশাল সীমানা
সাহারার মরু প্রান্তর,
বিধাতা জানেন কতোগুলো ধূলোর কণায় গড়া
সাহারার সিকতা সাগর।
মানুষ গুনতে পারে কতোগুলো প্রজাপতি
ফুলের পরাগ ছুঁয়ে যায়,
কেবল বিধাতা জানেন কোন কোন ফুলকে ওরা
মমতায় বুকেতে জড়ায়।
মানুষ জানতে পারে প্রেমের উপেক্ষা পেয়ে
কতো লোক হাহাকারে মরে,
বিধাতার আছে জানা আসল প্রেমের চিতা
জ্বলে কার পোড়া অন্তরে।
মানুষ গুনতে পারে একটা আপেলে আছে
সব মিলে কতোগুলো দানা,
প্রত্যেক দানা পরে কতোটা ফলাবে আপেল;
সে সংখ্যা বিধাতারই জানা।
যুগে যুগে বিজ্ঞান জ্ঞানের সীমানা ছেড়ে
যতো দূর অসীমেই যাক,
বিধাতা ও মানুষের দেখা ও জানায় অমন
রয়ে যাবে বিশাল ফারাক।