সাত দশক পর যুক্তরাষ্ট্রে নারীর মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ | ১৪ জানুয়ারি ২০২১, ১১:০৬ | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২১, ১১:০৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৯৫৩ সালের পর প্রথম কোনো নারীর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল যুক্তরাষ্ট্রে। লিজা মন্টগোমারি নামে ৫২ বছরের ওই নারী ২০০৭ সালে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ববি জো স্টিননেট নামে আট মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে তিনি খুন করেছেন।

লিজার আইনজীবীদের দাবি ছিল, তিনি মানসিক ভাবে অসুস্থ। তাই লিজার মৃত্যুদণ্ড রদ করা হোক। কিন্তু শেষপর্যন্ত মঙ্গলবার প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশন দিয়ে তার মৃত্যুদণ্ডে কার্যকর করা হয়। খবর রয়টার্সের

জানা গিয়েছে, এদিন মৃত্যুদণ্ডের আগে লিজার মাস্ক খুলে এক মহিলা তাকে জিজ্ঞেস করেন, সে কিছু বলতে চায় কিনা। মৃত্যুর সামনে স্থির, থমথমে কণ্ঠস্বরে লিজা কোনোমতে বলেন, ‘না’। শেষ সময়ে অত্যন্ত নার্ভাস হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার মধ্যে কোনো আক্ষেপের চিহ্ন ছিল না বলেই উপস্থিত সাংবাদিকরা জানিয়েছেন। এরপরই তাকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। পরে এক চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে নৃশংস ভাবে খুন করেছিলেন তিনি। ওই নারীকে অপহরণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। এরপর তার পেট কেটে গর্ভস্থ ভ্রূণকে বের করে এনে তাকেও হত্যার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রাণে বেঁচে যায় শিশুটি।

লিজার আইনজীবীদের দাবি ছিল, তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। ছোটবেলায় তার সৎ বাবা ও তার বন্ধুরা মিলে তাকে গণধর্ষণ করেছিল। সেই মানসিক ধাক্কায় বিপর্যস্ত হয়ে যান লিজা। পরবর্তী সময়ে সেখান থেকেই তার মধ্যে অপরাধী মানসিকতা গড়ে ওঠে। লিজার মৃত্যুদণ্ড রদ করার আবেদন অবশ্য খারিজ করে দেন বিচারক।

গত জুলাই থেকে এই নিয়ে ১১ জনকে প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ঢাকা টাইমস/১৪জানুয়ারি/একে