ফিরে এসো, ককটেল দিয়ে বিজয়ী হবে না: আইজিপি

প্রকাশ | ১৪ জানুয়ারি ২০২১, ১৫:১৮ | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২১, ১৫:৫৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ জঙ্গিদের উদ্দেশে বলেছেন, যারা এখনো জঙ্গিবাদের মতো ভুল পথে আছে তারা দ্রুত ফিরে এসো। কারণ, তোমরা ওই ককটেল, জর্দার কৌটা বা এ জাতীয় জিনিসপত্র দিয়ে কারও বিরুদ্ধেই বিজয়ী হতে পারবে না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে র‌্যাব সদর দপ্তরে ৯ জঙ্গির আত্মসমর্পণ উপলক্ষে আয়োজিত ‘নব দিগন্তের পথে’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। 

এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে জেএমবির ৬জন ও আনসার আল ইসলামের তিন জঙ্গি আত্মসমর্পণ করে।

আইজিপি বলেন, ওই ককটেল, জর্দার কৌটা বা এ জাতীয় জিনিসপত্র দিয়ে তোমরা কারো বিরুদ্ধেই বিজয়ী হতে পারবে না। বরং ওই পথে গিয়ে তোমরা পরিবার-সমাজ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছ। বেঘোরে প্রাণ যাওয়ার আশঙ্কাও আছে। এই অন্ধকার জগত তোমার নিজেকে, পরিবারকে এবং রাষ্ট্রকে বিপদে ফেলতে পারে।

বাংলাদেশ বার বার জঙ্গিবাদে আক্রান্ত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে এর কোনোটাই বাংলাদেশ থেকে সৃষ্টি হয়নি। প্রতিবারই বাইরের দেশ থেকে এসেছে, প্রতিবারই শান্তিপ্রিয় মানুষের সহায়তায় আমরা তাদের পরাস্ত করেছি।

এখনো যারা এ ধরনের কাজে জড়িত, তাদের প্রতি আমাদের নজরদারি অব্যাহত আছে। র‌্যাব, অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট, কাউন্টার টেরোরিজমসহ একাধিক টিম তাদেরকে নজরদারিতে রেখেছে। আমাদের গোয়েন্দা কমিউনিটিও এ বিষয়ে তৎপর রয়েছে। হয়তো পরিপূর্ণভাবে সব ঘটনা শুরুতে বিনষ্ট করতে পারিনি। ১০০ ভাগ না হলেও অন্তত ৯০ ভাগেরও বেশি ঘটনা শুরুতেই বিনষ্ট করতে সক্ষম হয়েছি।

যারা সমাজের মূলধারায় ফিরে এসেছে, তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, তোমরা আলোর পথের অভিযাত্রী,  তোমাদের অভিনন্দন। জঙ্গিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার এই ধারা বাংলাদেশই প্রথম চালু করেছে।

তিনি বলেন, হলি আর্টিজানের পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদেরকে নানা বিধিনিশেধ দিয়েছে। অনেকে বলেছে বাংলাদেশ আর ঘুরে দাড়াতে পারবে না। পৃথিবীর কোনো দেশ আমাদের তখন সহায়তা করেনি। কিন্তু দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে আমরা জঙ্গিবাদকে পরাজিত করেছি। শুধু একবার নয়, জঙ্গিবাদ বার বার মাথা চাড়া দিয়ে উঠলে আমরা বার বার পরাজিত করবো। কোনোক্রমেই দেশে জঙ্গিবাদের কার্যক্রম সফল হতে দেব না।

(ঢাকাটাইমস/১৪জানুয়ারি/এসএ/কেআর)