মোংলাপোর্ট পৌর নির্বাচনে বিএনপি-আ.লীগ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৪ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:১২

বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচন দ্বিতীয় ধাপে আগামী শনিবার (১৬ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সীমানা সংক্রান্ত জটিলতায় আটকে থাকা মোংলাপোর্ট পৌরসভার নির্বাচন প্রায় ১০ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনীত দুই প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

পৌরসভার পুরো এলাকায় প্রার্থীদের নির্বাচনী পোস্টারে ছেয়ে গেছে। পৌরসভাজুড়ে যেন এক উৎসবের আমেজ। প্রার্থীরা দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আসন্ন নির্বাচনী বৈতরণি পার হতে নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের কাছ ভোট চাইছেন প্রার্থীরা। এবারই প্রথম মোংলাপোর্ট পৌরসভায় ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।

১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ একবারও জিততে পারেনি। তাই এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কি পারবে মেয়র পদটিতে জিততে, সেই প্রশ্ন পৌরবাসীর।

বিএনপি দলীয় প্রার্থী বর্তমান মেয়র জুলফিকার আলী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে মারধর ও হুমকি দেয়ার অভিযোগ করেছেন। তবে আওয়ামী দলীয় প্রার্থী তা অস্বীকার করেছেন। নির্বাচন কমিশন বলছে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি তাদের রয়েছে।

এই নির্বাচনে নয়টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন ও সংরক্ষিত তিনটি মহিলা ওয়ার্ডে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে নয়টি ওয়ার্ডের ১২টি কেন্দ্রের মোট ৩১ হাজার ৫২৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

ভোটাররা বলছেন, যারা এলাকার উন্নয়নে কাজ করবে, আমাদের নাগরিক সুবিধা দেখবে আমরা সেই প্রার্থীকে ভোট দেব।

মোংলা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সিপিবি নেতা নূর আলম শেখ বলেন, ১৯৭৫ সালে মোংলা পোর্ট পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই পৌরসভায় মেয়র পদে কখনো আওয়ামী লীগ জয়লাভ করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থায়ও এই পৌরসভার নির্বাচনে বিএনপির জুলফিকার আলী বিজয়ী হয়েছেন। আগামী ১৬ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি চাইছে মেয়র পদ ধরে রাখতে। আর আওয়ামী লীগ চাইছে বিএনপির দূর্গ ভাঙতে। এই দুই দলের যেই জিতবে তার ব্যবধান হবে খুব কম। এমনটাই মনে করছেন এই রাজনীতিক।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান বলেন, বর্তমান মেয়র সরকারের করা উন্নয়নকে নিজের বলে প্রচারণা চালাচ্ছেন। মোংলাপোর্ট পৌরসভায় নাগরিকরা যে ধরনের সুযোগ পাওয়ার কথা তা পাচ্ছে না। আমি নির্বাচিত হলে আধুনিক পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলব। জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।

বিএনপি দলীয় প্রার্থী বর্তমান মেয়র জুলফিকার আলী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে মারধর ও হুমকি দেয়ার অভিযোগ করে বলেন, আমি গত ১০ বছর ধরে এই পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। বিগত দিনে আমি পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করেছি। এলাকার জনগণ তার সুফল ভোগ করছেন। আসন্ন নির্বাচনে জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারলে আমি আবারও মেয়র নির্বাচিত হব।

বিএনপি দলীয় প্রার্থীর অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুর রহমান বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। এই পৌরসভায় অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে কাউকে হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে না।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরাজী বেনজীর আহমেদ বলেন, মোংলাপোর্ট পৌরসভায় ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১৪জানুয়ারি/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :