৩০ বছর পর তাপসের হাতে নাটাই, কাটলেন ঘুড়িও

প্রকাশ | ১৪ জানুয়ারি ২০২১, ১৯:৫৭ | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২১, ২০:১২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পৌষ সংক্রান্তিকে ঘিরে পুরান ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হলো সাকরাইন উৎসবের। বর্ণিল এই আয়োজনে অংশ নিয়ে ঘুড়ির নাটাই হাতে সেই ছোট্টবেলায় ফিরে গেলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ছোটবেলায় ঘুড়ি ওড়াতেন জানিয়ে তিনি বললেন, ৩০ বছর পর ঘুড়ির নাটাই হাতে নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে সাকরাইন/ঘুড়ি উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা জানান মেয়র তাপস। এসময় দুটি ঘুড়িকে পরাস্তও করেন তিনি।
নগরীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, আব্দুল আলীম মাঠসহ বিভিন্ন মাঠে সিটি করপোরেশনের পক্ষ হতে সাকরাইন উৎসবের আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি পুরান ঢাকার বাড়িতে বাড়িতে ব্যক্তিগত উদ্যোগেও নানা আয়োজন উৎসবকে করেছে বর্ণিল।  
এবারই প্রথম এই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ১৪২৭ বঙ্গাব্দের ৩০ পৌষ ঢাকার আকাশে হাজার হাজার ঘুড়ি ওড়ানো হল।
মেয়র তাপস বলেন, আজ ঢাকাবাসীর ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসবের মাধ্যমে ঢাকার পুরো আকাশকে আমরা করে দিয়েছে রঙিন। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা বিশ্ববাসীকে জানাতে চাই - আমরা আনন্দ করতে জানি, উৎসব করতে জানি, আমাদের ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করতে জানি।
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস আরও বলেন, আজ ঢাকা শহরের প্রতিটি ভবনের ছাদে-মাঠে আমাদের ছেলেমেয়েরা উৎসব করছে এবং এই উৎসবে অংশগ্রহণ করছে।
এ সময় সাম্প্রদায়িকতা ও অপশক্তির কবল থেকে বাংলাদেশের সংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গুরুত্ব তুলে ধরে শেখ তাপস বলেন, এই ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসবকে পুরো দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে। কারণ, একটি জাতির জন্য ঐতিহ্য লালন তার জাতীয়তাবোধের পরিচায়ক, জাতীয়সত্তার পরিচায়ক। এর মাধ্যমে আমরা যেমনি সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে মোকাবিলা করব তেমনি আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেবো। সেজন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণ ও লালনে এ ধরনের আয়োজনের গুরুত্ব অপরিহার্য।


ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ সময় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, দেখেন আমার ঘুড়িটা কত দূর চলে গেছে- উড়তে উড়তে। সেই আকাশের সীমানা পেরিয়ে যাচ্ছে। আমার কাছে দুটি ঘুড়ি পর্যদুস্ত হয়েছে।
এবারের আয়োজন নিয়ে সন্তুষ্ট কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমি খুবই খুশি, খুবই সন্তুষ্ট। ঢাকাবাসী অত্যন্ত আনন্দ, উৎসবের মাধ্যমে এ আয়োজনকে রঙিন করে তুলেছে। এই আয়োজন সফল করায় আমি ঢাকাবাসীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। প্রথমবারের মতো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে আমরা সমন্বিতভাবে ৭৫টি ওয়ার্ডে আয়োজন করেছি। এখন থেকে প্রতিবছরই আমরা এই আয়োজন করব এবং আগামী বছরগুলোতে এই আয়োজনের কলেবর আরও বৃদ্ধি করা হবে।


এ সময় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, করোনা মহামারির মাঝে পুরো পৃথিবী থমকে গেছে। উৎসবের আনন্দে বাংলাদেশ দ্রুতই করোনার প্রকোপ থেকে মুক্তি পাক, মুক্তি পাক সারা পৃথিবীর মানুষ।  
পরে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস নগরীর ৪৬ নং ওয়ার্ডের জহির রায়হান নাট্যমঞ্চে  এবং ৪১ নং ওয়ার্ডের ফকির চাঁন কমিউনিটি সেন্টারেও সাকরাইন উৎসবে অংশগ্রহণ করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৪জানুয়ারি/বিইউ/ইএস)