বিদেশে ফ্ল্যাট-বাড়ি কাদের জানতে চেয়ে দুদকের চিঠি পররাষ্ট্রে

প্রকাশ | ১৪ জানুয়ারি ২০২১, ২২:০৪ | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২১, ২২:১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে যেসব বাংলাদেশি অবৈধ সম্পদের মাধ্যমে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ও বাড়ি কিনেছেন তাদের তালিকা চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা পেয়ে ১১ জানুয়ারি দুদক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মাসুদ বিন মোমেনের কাছে ওই চিঠি পাঠায়। দুদক মহাপরিচালক (মানি লন্ডারিং) আ ন ম আল ফিরোজের স্বাক্ষরে পাঠানো চিঠিটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দুদকের সচিব মু আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

চিঠি পাঠানোর বিষয়ে গতকাল দুদক সচিব আনোয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কানাডা, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে যারা অবৈধ সম্পদের মাধ্যমে বাড়ি-ঘর করেছে বলে খবর আসছে। তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। তারা তাদের স্ব স্ব এজেন্সির মাধ্যমে জেনে দুদককে অবহিত করবেন। এই জন্যই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ সংক্রান্ত তথ্যগুলো সরবরাহ করতে অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানান দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির সচিব আনোয়ার হাওলাদার।

গত ১৮ নভেম্বর ডিআরইউর মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশ থেকে কানাডায় টাকা পাচারের সত্যতা পাওয়ার কথা জানান।

প্রাথমিকভাবে অর্থপাচারে জড়িত যাদের তথ্য পাওয়া গেছে তার মধ্যে সরকারি কর্মচারীই বেশি বলে জানান তিনি। এছাড়া রাজনীতিক এবং ব্যবসায়ী থাকার কথাও তিনি বলেন। তবে কারও নাম তিনি প্রকাশ করেননি।

সে বক্তব্যের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন নজরে আসার পর গত ২২ নভেম্বর হাইকোর্ট অর্থ পাচারকারী, দুর্বৃত্তদের নাম-ঠিকানার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কি না, তা জানতে চায়।

সেই রুলের শুনানিতে দুদকের জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে হাই কোর্ট বিদেশে অর্থপাচারকারীরা কে কোথায়, কীভাবে আছে, তা জানাতে দুদককে নির্দেশ দেয়।

এর আগে বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার করে সম্পদ বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব গ্রহণকারী বাংলাদেশিদের তালিকা চেয়ে গত নভেম্বরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল দুদক।

‘সেকেন্ড হোম’ প্রকল্পের আওতায় বিদেশে বিনিয়োগ কিংবা বহুল আলোচিত পানামা পেপার্স ও প্যারাডাইস পেপার্সে যেসব বাংলাদেশিদের নাম উঠে এসেছে, তাদের বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছিল ওই চিঠিতে।