অধ্যক্ষ আমজাদের খুব প্রয়োজন ছিল: ফখরুল

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:২২ | প্রকাশিত : ১৫ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:১৯

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকার শুধু বিএনপির নেতা ছিলেন না। তিনি ছিলেন সব দল ও মতের ঊর্ধ্বে উঠে আপামর জনতার নেতা, যার প্রমাণ আজকের এই জনসমুদ্র। এখানে সমবেত হয়েছেন অত্র অঞ্চলের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেত্রীস্থানীয় ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। তাকে হারিয়ে আমরা আজ খুবই ব্যাথাতুর। তার শূণ্যস্থান পূরণ হওয়ার নয়।

শুক্রবার বাদ জুমা সৈয়দপুর শহরের পশ্চিম পাটোয়ারীপাড়ায় নীলফামারী-৪ আসনের সাবেক এমপি, সৈয়দপুর পৌরসভার চারবারের নির্বাচিত মেয়র ও কেন্দ্রীয় বিএনপির গ্রাম সরকার বিষয়ক সহ-সম্পাদক অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকারের জানাজার আগে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন ফখরুল।

মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু সৈয়দপুর বা নীলফামারী নয় বরং উত্তরবঙ্গের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারালাম আমরা। এই সময়ে তার খুব প্রয়োজন ছিল আমাদের। কিন্তু আবেগ ভারাক্রান্ত হয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকে আজ বিদায় দিতে হচ্ছে। চির বিদায়ের সময়ই তার জানাজা সৃস্টি করলো আরেক ইতিহাস। পরিসমাপ্তি ঘটলো সৈয়দপুরের ইতিহাসের অনবদ্য এক কিংবদন্তির।

ফখরুল বলেন, আমজাদ ছিলেন অত্যন্ত সাহসী ও সত্যবাদী। যে কারণে তাকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারেনি। সবসময় তিনি সৈয়দপুরবাসীর উন্নয়ন নিয়ে ভাবতেন। সারাটি জীবন সৈয়দপুরের মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করে গেলেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দিনাজপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও চিরিরবন্দর-খানসামা আসনের সাবেক এমপি আখতারুজ্জামান মিয়া, নীলফামারী-৪ আসনের এমপি আহসান আদেলুর রহমান আদেল, নীলফামারী-৪ আসনের সাবেক এমপি শওকত চৌধুরী, নীলফামারী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, নীলফামারী জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার, জামায়াতে ইসলামী সৈয়দপুর উপজেলা আমির হাফেজ আব্দুল মুনতাকিম, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার, উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ও ইকু গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক, পাবর্তীপুর পৌরসভার মেয়র মিনহাজুল হক, হাজারীহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও বিএনপি নেতা লুৎফর রহমান চৌধুরী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, আমজাদ হোসেন সরকারের ছোট ভাই ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি রশিদুল হক সরকার এবং জেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও বিশিষ্ট চাল ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন ভোলা।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, ভাইস চেয়ারম্যান আজমল হোসেন সরকার, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক দিলনেওয়াজ খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু, বসুন্ধরা কিংসের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ এবং সৈয়দপুরের প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষ।

জানাযা শেষে অধ্যক্ষ আমজাদকে পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবা মরহুম মকবুল হোসেন সরকারের কবরের পাশে দাফন করা হয়। এর আগে বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টায় ঢাকায় বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকার(৬৩) ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, একমাত্র ছেলে, তিন ভাই ও চার বোনসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :