করোনা টেস্ট করাতে গিয়ে অবরুদ্ধ হৃদরোগী

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৫ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:৫৭

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এক হৃদরোগী ও তার ছেলে করোনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মচারীদের তোপের মুখে পড়েন। এসময় তাদের তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেবারও চেষ্টা করা হয় তাদের।

সাজা দেবার প্রস্তুতিকালে প্রত্যক্ষদর্শীদের তোপের মুখে নমুনা না নিয়েই বাবা-ছেলেকে বিদায় করে দেয়া হয়।

ভুক্তভোগী উপজেলার সোনাইকুন্ডি গ্রামের কৃষক তহিদুল ইসলাম সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থবোধ করায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাবার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। আর এর জন্য গত কয়েকদিন ধরে করোনা নেগেটিভ সনদ নিতে দৌলতপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গেলে বৃহস্পতিবার তাকে যেতে বলা হয়। ওইদিন বেলা ১১টার দিকে তহিদুল ইসলাম তার ছেলে সোহেল রানাকে সঙ্গে নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে প্রয়োজনীয় ফরম পূরণ করছিলেন। এসময় আচমকা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিসংখ্যানবিদ আমিরুল ইসলাম তাদের ফরমটি কেড়ে নিলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম তুহিন এসে একটি কক্ষে তাদের তালাবদ্ধ করে রাখেন। এবং তাদের সাজা দেবার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডাকা হয়। পরে ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত হলে প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। উপস্থিত জনতার সঙ্গে কথা বলে অবরুদ্ধ বাবা-ছেলের কোন দোষ না পাওয়ায় ইউএনও ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। এসময় প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বাস্থ্যকপ্লেক্সের স্টাফদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং অবরুদ্ধ বাবা-ছেলেকে মুক্ত করেন।

হৃদরোগী তহিদুল ইসলাম জানান, ‘কোন অন্যায় না করেও করোনা পরীক্ষা করতে গিয়ে আমাকে ও আমার ছেলেকে একটি ঘরের মধ্যে তিন ঘণ্টা আটকিয়ে রাখা হয়েছিল।’

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী জাহেরুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচওসহ স্টাফরা সাধারণ রোগীদের সঙ্গে সবসময় খারাপ আচরণ করে থাকেন।

তবে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম তুহিনের দাবি করোনা স্যাম্পল নেবার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা উপস্থিত হননি। এবং হাসপাতালের কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।

তবে, তাদের তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ রাখা হলো কেন এ বিষয়ে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, ‘স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। পরে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা না পাওয়ায় সেখান থেকে চলে আসি।’

(ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :