বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থীর ভোট বর্জন

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ১২:১৮ | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ১৫:৩৩

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

ভোট কারচুপি ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগে এনে বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভা নির্বাচনে বর্তমান মেয়র ও বিএনপি প্রার্থী জুলফিকার আলীসহ ১৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যদিকে নিজের ভোট দিতে না পারায় রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভায় ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক প্রামাণিক। 

মোংলায় ভোট বর্জনকারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে জামায়াত সমর্থিত দুজনসহ মোট ৯ জন রয়েছেন। এছাড়া ৪ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীও ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

শনিবার সকাল ১০টা ৪৫মিনিটে বিএনপির মেয়র প্রার্থী জুলফিকার আলীর মোংলা পৌরসভার মাদরাসা রোডের নিজ বাসভবনে প্রার্থীরা এ ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। তাদের ভোট বর্জনের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কারও বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে রাজশাহীর ভবানীগঞ্জ পৌরসবায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক প্রামাণিক শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌর এলাকায় নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের সামনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, শহীদ সেকেন্দার মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আমি আমার নিজের ভোটটা দিতে গিয়েছিলাম। নৌকার সমর্থকরা আমাকে আমার ভোটটাই দিতে দেয়নি। কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোথাও এমন হয়েছে যে প্রার্থী তার নিজের ভোট দিতে পারেননি? এমন ভোটে থেকে লাভ কী?

তিনি অভিযোগ করেন, কোন কেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্ট নেই। সবাইকে বের করে দেয়া হয়েছে। আর তিনি যখন ভোট দিতে যান তখন কেন্দ্রে তাকে লাঞ্ছিতও করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে তিনি ভোট বর্জন করছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আবদুল মালেক বলেন, এখন বেলা ১১টা। ভোট যা হওয়ার হয়ে গেছে। এখন ভোট বর্জন করে লাভ আছে?

তিনি বলেন, ভোট বর্জনের কথা এখনও শুনিনি। সব জায়গায় বিএনপির এজেন্ট আছে। শুনলাম ১৫-২০ জন নিয়ে গিয়ে বিএনপি প্রার্থী ভোট দিয়েছেন। এখন নিশ্চিত পরাজয় দেখে হয়ত ভোট বর্জন করছেন।

ভবানীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ব্যালটে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। মেয়র পদে মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই প্রার্থী ছাড়া অন্য দুইজন হলেন- স্বতন্ত্র এসএম মামুনুর রশীদ (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) এবং কামাল হোসেন। কামালের প্রতীক নারিকেল গাছ। আর মামুনুর রশীদের প্রতীক জগ।
দ্বিতীয় ধাপে রাজশাহীর তিনটি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অন্য দুটি পৌরসভা হলো- গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট এবং বাঘা উপজেলার আড়ানী।

(ঢাকাটাইমস/১৬জানুয়ারি/কেআর)