শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নামে চাঁদাবাজি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:৩৬ | প্রকাশিত : ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ১৩:৩৪

ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী সেভেনস্টার গ্রুপের পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে একটি চক্র। এই চক্রটি বিভিন্ন নিরীহ ব্যবসায়ীদের টেলিফোন নম্বর সংগ্রহ করে চাঁদাবাজি করে আসছে। তারা তিনগ্রুপে বিভক্ত হয়ে চাঁদাবাজি করে থাকে।

এদের মধ্যে একটি গ্রুপ ঢাকার নীলক্ষেতের পুরাতন বইয়ের দোকান, অফিসার্স ক্লাবসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে টেলিফোন ইনডেক্স সংগ্রহ করে দ্বিতীয় গ্রুপের কাছে সরবরাহ করে।

দ্বিতীয় গ্রুপটি সংগ্রহ করা নম্বরে ফোন করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা চেয়ে থাকে। দ্বিতীয় গ্রুপটি বিভিন্ন হিসাব নম্বরে, বিকাশে এবং নগদের টাকা চেয়ে থাকে। পরে তৃতীয় গ্রুপটি ওই চাঁদার টাকা সংগ্রহ করে।

শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপি উপ কমিশনার (ডিসি) ওয়ালিদ হোসেন।

এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল, তুরাগ ও পল্টন এলাকা থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের একটি দল। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বেল্লাল খান, রাকিব খান টিটুল, মো. আবদুল হান্নান, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. সোহাগ এবং খোরশেদ আলম। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে মোবাইল, সিমকার্ড ও নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ওয়ালিদ হোসেন বলেন, বেশকিছুদিন আগে কক্সবাজারের এক ব্যবসায়ীকে মোবাইল ফোনে টাকা চওয়া হয়। টাকা না দিলে তাকে ও তার ছেলেকে হত্যা-গুম করবে বলে হুমকি দেয়। ওই ব্যবসায়ী ভয় পেয়ে প্রতিমাসে তাদেরকে পাঁচ হাজার টাকা করে দিতে থাকেন। এভাবে তাদেরকে ৩৫ হাজার টাকা দিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। এরপর ওই চক্রটি তার কাছে আরো বড় অংকের টাকা দাবি করলে তিনি ডিএমপির গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ করেন।

ওই ব্যবসায়ী খুলনা, নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় ব্যবসা করতেন। তার অভিযোগ পেয়ে ডিএমপির গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের এডিসি মনিরের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু করে। এরা ৮ থেকে ১০ জনের একটি চক্র। এই চক্রটির প্রথম গ্রুপের সদস্যরা ঢাকার নীলক্ষেতের পুরাতন বইয়ের দোকান থেকে, বিভিন্ন বই ব্যবসায়ী, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির বার্ষিক সদস্যদের (ঠিকানা ও মোবাইল নম্বরের তালিকা) টেলিফোন গাইড সংগ্রহ করে দ্বিতীয় গ্রুপকে দেয়। দ্বিতীয় গ্রুপ ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী সেভেনস্টার গ্রুপের জিসানের নাম করে সেভেনস্টার গ্রুপের কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে ফোনে টাকা চেয়ে থাকে। তাদের ফোনে অনেকে ভয় পেয়ে টাকা দিয়ে দেয়। তারা ভিকটিমদের বিকাশ বা নগদের বিভিন্ন হিসাবে টাকা দিতে বলে।

তৃতীয় গ্রুপটি ওই হিসাব থেকে টাকা সংগ্রহ করে। আমরা প্রথমে এই গ্রুপের প্রধান বেলাল খানকে গ্রেপ্তার করি। পরে তার টুআইসি টুটুল খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পর্যায়ক্রমে তাদের গ্রুপের আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি ডাইরি উদ্ধার করা হলে তার মধ্যে ভিকটিমদের তালিকা পাওয়া যায়।

এরা কিভাবে বিকাশ কিংবা নগদের হিসাব নম্বর খোলে এমন প্রশ্নের জবাবে ওয়ালিদ হোসেন বলেন, এরা বিভিন্ন নিরীহ লোকদের ও তাদের আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে হিসাব খোলে।

এই গ্রুপটি মাদারীপুর নারায়ণগঞ্জ ও বরিশাল কেন্দ্রিক কাজ করে। তাদের একটি গ্রুপ ঢাকায় রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ছয়জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও চাঁদাবাজি আইনে ছয়টি মামলা রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৬ জানুয়ারি/এএ/কেআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অপরাধ ও দুর্নীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অপরাধ ও দুর্নীতি এর সর্বশেষ

চাকরির পরীক্ষার আগেই মিলত উত্তর, চুক্তি ১২-১৪ লাখ টাকায়: ডিবি

আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক শিশু পর্নোগ্রাফি চক্রের মূলহোতা গ্রেপ্তার, বিপুল কনটেন্ট জব্দ

এফডিসিতে সাংবাদিকদের উপর হামলা: ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি

স্ত্রীসহ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ডিবিতে যা বলেছেন কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান

শেরপুরের ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার

খেলনার প্যাকেটে আমেরিকা থেকে এসেছে কোটি টাকার গাঁজার চকলেট-কেক

সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৮

সনদ জালিয়াতি: কারিগরি বোর্ডের ওএসডি চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ডিবি

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :