প্রাচীন স্থাপত্যের নিদর্শন রমজান মিয়া জামে মসজিদ

এম.আর রিয়াদ, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:১১ | প্রকাশিত : ১৭ জানুয়ারি ২০২১, ১৩:০০

দেশের বিভিন্ন স্থানে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে প্রত্নতাত্ত্বিক অনেক নিদর্শন। এর মধ্যে কোনো-কোনোটি কয়েকশ বছর বা তার চেয়েও পুরনো। এমনই একটি স্থাপত্য নির্দশন নোয়াখালীর রমজান মিয়া জামে মসজিদ। অপরূপ স্থাপত্যশৈলীর প্রাচীন এই নির্দশন দেখে মন ভরে যাবে যে কারো।

ধারণা করা হচ্ছে মসজিদটির বয়স প্রায় আড়াই থেকে তিনশ বছর। স্থানীয়দের মতে ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দ কিংবা তারও আগে ৫ শতাংশ জমির ওপরে জনৈক প্রয়াত রমজান মিয়া মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৩১ফুট ও প্রস্থ ১০ফুট, মসজিদের ছাদ ঢেকে রয়েছে তিনটি গম্বুজে। রয়েছে তিনটি দরজা ও দু’টি জানালা।

এই মসজিদটি নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বাটাইয়া ইউনিয়নের দৌলতরামদি গ্রামে। মসজিদটির চার ফুট চওড়া দেয়ালগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন কারুকার্য। পশ্চিম পাশের দেয়ালে রয়েছে ছোট বড় ৩টি মিম্বর। ১২টি পিলার ও ২টি খিলানের ওপর দাঁড়িয়ে আছে মসজিদটি। প্রতিটি পিলারের মাথায় রয়েছে একটি করে মিনার। তবে মিনারগুলোর মধ্যে দুটি বর্তমানে নেই। স্থানীয়দের মতে, অনেক বছর আগে কোন এক ভূমিকম্পে ওই দুটি মিনার ভেঙে পড়েছিল। যা এখনও আর সংস্কার করা হয়নি।

মসজিদটির আয়তন ছোট হওয়ায় মুসল্লি ধারণ ক্ষমতা ৫০ জনের মতো।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, মসজিদটি সংস্কারে স্থানীয়ভাবে উদ্যোগ নেওয়া হলেও বিভিন্ন অজুহাতে তা আর হয়ে ওঠেনি। এক বছর আগে কবিরহাটের তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মসজিদটি পরিদর্শন করে সংস্কারের উদ্যোগ নেবেন বলে জানান। কিন্তু এখনো তা শুরু হয়নি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মসজিদ ভবনসহ চার পাশে মিলে মসজিদের নামে প্রায় ২৭ শতাংশ জমি ছিল। যার মধ্যে ভবনের ৫ শতাংশ বাদ দিলে আরো ২২ শতাংশ জমি থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে তার অর্ধেক জমিও নেই। স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তি তা দখল করে নিয়েছে। দখল হওয়া জমি উদ্ধারে তারা সরকারি হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৭জানুয়ার/এজেড/এইচএফ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :