পৌরসভায় একবছর বেতন দিতে না পারলে বাতিল হবে পরিষদ

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পৌরসভায় একবছর বেতন দিতে না পারলে পরিষদ বাতিল করার লক্ষ্যে আইন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

রবিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প-‘স্ট্রেংদেনিং দ্যা আরবান লোকাল গভর্নমেন্টস ইন বাংলাদেশ’ এর উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন।

প্রকল্পটি দেশের ১১ টি সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় পৃথক গবেষণা চালিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক ও আর্থিক দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্তরায় গুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধানে কাজ করছে। প্রকল্পটিতে বাংলাদেশ সরকার, ব্রিটেনের ফরেন, কমনওয়েলথ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা করছে।

 

 

অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়ররা নিজেদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। নিজস্ব আয় কম হওয়ার কারণে উন্নয়ন প্রকল্পের পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা দেয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে জানান।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা তাদের নিজস্ব আইন অনুযায়ী চলে এবং নিজেদের আয়ে পরিচালিত হবে এমনটাই আইনে বলা আছে।

দেশের বেশিরভাগ পৌরসভা তাদের স্টাফদের বেতন দিতে পারেন না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যে সকল পৌরসভা তাদের কর্মচারীদের ১২ মাস পর্যন্ত বেতন দিতে পারবে না তাদের পরিষদ ভেঙে দেয়ার লক্ষ্যে পৌরসভার আইনকে সংশোধন করার উদ্যোগ নেয়া হবে।

এ সময় মানুষ পৌরসভায় ট্যাক্স দিতে পারেন না- এমন কথা বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করে তিনি। বলেন, সিটি করপোরেশন, পৌরসভাগুলোতে নিজস্ব আয় বাড়াতে হবে।  করোনা মহামারির সংকট মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিল এবং মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনেক অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন করতে হলে স্থানীয় সরকার অর্থাৎ সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদসহ ইউনিয়ন পরিষদ জনপ্রতিনিধিদের শক্তিশালী করলেই হবে না, জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করতে হবে। কেউ জবাবদিহিতার বাহিরে নয়।

মন্ত্রী আরও বলেন, শহরের সকল সুযোগ সুবিধা গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন। পুরো দেশই শহরে রূপান্তরিত হবে। আর শহরের সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছে গেলে ঢাকায় আর মানুষকে থাকতে হবে না। জনগণ শহরের সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা হাতের নাগালেই পাবে ।

‘ঢাকাকে বসবাসযোগ্য, আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন করতে হলে, জোন ভিত্তিক স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, রাস্তা, ওয়াটার বডিসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিস সরবরাহ করতে হলে নতুন করে পরিকল্পনা নিতে হবে। অপরিকল্পিতভাবে আর ভবন নির্মাণ করতে দেয়া হবে না। কোথায় সুউচ্চ ভবন হবে, কোথায় কমার্শিয়াল এরিয়া হবে সকল পক্ষের মতামত নিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে বাস্তবতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে ‘

পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।

(ঢাকাটাইমস/১৭জানুয়ারি/বিইউ/ইএস)