লাখে ৫ হাজারে বিকাশ প্রতারক চক্রে ‘ব্যাংক কর্মকর্তা’

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০২১, ২০:০৬ | আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২১, ২০:১০

আল-আমিন রাজু, ঢাকাটাইমস

মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যম বিকাশের গ্রাহক সঙ্গে হরহামেশাই ঘটছে প্রতারণার ঘটনা। এর আগে এ ধরনের প্রতারক চক্রে গ্রামীণফোন কর্মকর্তার যোগসাজশ বের করে আনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এবার এমন একটি প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকা একটি বেসরকারি ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।

রাজধানীর হাতিরঝিল থানার হিরাঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার ওই কর্মকর্তার নাম হাসিবুল হাসান হুমায়ুন ওরফে রুবেল। তিনি ডাচ বাংলা ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখার এরিয়া রিলেশন অফিসার(এআরও)। সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দুদিনের হেফাজতে পেয়েছে।

কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার সাইদ নাসিরুল্লাহ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বিকাশ প্রতারণার সঙ্গে জড়িত চক্রগুলো বিভিন্ন কায়দায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে। বিকাশের বিভিন্ন গ্রাহকের একাউন্ট আপডেট বা বন্ধ করে দেয়ার কথা বলে অভিনব কায়দায় প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিতো তারা।’

সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার সাইদ নাসিরুল্লাহ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরে চক্রটি টাকাগুলো ক্যাশ করার জন্য ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতা নেয়। গ্রেপ্তার হাসিবুল হাসান হুমায়ুন ওরফে রুবেল এমন একটি প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

সাইদ নাসিরুল্লাহ জানান, গ্রেপ্তার রুবেলের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানায়। তারই এলাকার কিছু লোক বিকাশ প্রতারণা চক্র গড়ে তোলে। পূর্ব পরিচিত হওয়ার কারণে সহজে টাকা আয়ের মাধ্যম হিসেবে রুবেলও জড়িয়ে পড়ে এই প্রতারণা চক্রে। রুবেল চক্রের শেষ ধাপে কাজ করতো। চক্রের অন্য সদস্যরা প্রথম ধাপে সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিভিন্ন কৌশলে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরে অনেক সময়ে টাকা তুলতে গিয়ে ধরা পড়ে যায় চক্রের সদস্যরা। যেহেতু রুবেল ব্যাংক কর্মকর্তা তাই সহজেই প্রতারণার মাধ্যমে আসা টাকা ক্যাশ করে দিতো।

সাইদ নাসিরুল্লাহ বলেন, ‘এ জন্য এই চক্রটি প্রতারণার মাধ্যমে আয় করা টাকা  ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেট ও ডাচ বাংলার বিভিন্ন একাউন্টে নিয়ে আসতো। এরপর রুবেল বিশ্বস্ততার সঙ্গে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে চক্রের অন্য সদস্যদের হাতে তুলে দিতো। প্রতি এক লাখ টাকা তুলে দেয়ার জন্য রুবেল কমিশন পেত ৫ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকা উঠিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন রুবেল।

রাজধানীর পল্টন থানায় এক বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ী করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদলত তাকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে চক্রটির বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

(ঢাকাটাইমস/১৮জানুয়ারি/ডিএম)