করোনাকালে ভ্রমণে যেসব নিয়ম মেনে চলবেন

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ জানুয়ারি ২০২১, ১৫:৪২

করোনা ভাইরাসের দাপটে কার্যত সন্ত্রস্ত হয়ে রয়েছে বিশ্ব। উড়ু উড়ু মন নিয়ে বাড়ি থেকে দুই পা বেড়িয়েও তিন পা পিছিয়ে আসতে হচ্ছে ভ্রমণ প্রিয় বাঙালিকে। তবে আর চিন্তা নেই। কারণ ২০২১ বয়ে নিয়ে আসছে নতুন বার্তা। করোনাভাইরাসের টিকা দ্বারস্থ হওয়ার ফলে সাহস বাড়ছে মানুষের। বাড়ি বসে সাহস করে বানিয়েই ফেলছেন সম্ভাব্য ট্যুর ডায়েরি।

বিধি-নিষেধ মেনেই ভ্রমণে বের হতে হচ্ছে পর্যটকদের। সমুদ্রসৈকত, পাহাড়, বন, বিনোদন রিসোর্টে মুক্ত করা হয়েছে পর্যটকদের জন্য। নতুন বছরের শুরুতে অনেকেই ভ্রমণে বের হন। ব্যবসা ও পড়াশোনার কাজেও অনেককে দেশের বাইরে যেতে হয়। কিছু বিষয়ে সচেতন থাকলে সহজেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ এড়ানো যায়।

তবে করোনাভাইরাসের তাণ্ডবের মধ্যেও ভ্রমণের জন্য বিশ্বের ৬টি দেশ নিরাপদ! ছয়টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে উইগো ট্র্যাভেল ব্লগ। সেই তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার নাম। এর পরেই রয়েছে নিউজিল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের নাম। তালিকার চার, পাঁচ ও ছয় নম্বরে রয়েছে যথাক্রমে জাম্বিয়া, কিউবা ও সৌদি আরব। এছাড়া অন্য কোনো দেশে ভ্রমণে বের হতে হলে সাবধানে বের হবে।

চিকিৎসকদের মতে, ভ্রমণে সতর্কতা অত্যন্ত জরুরি। কারণ, টিকা বেরিয়েছে মানেই সব ঠিক হয়ে গিয়েছে, এমন কিন্তু নয়। প্রথমত, টিকা এখনও পুরো দমে দেওয়া শুরু হয়নি। আর দেওয়া শুরু করলেও যে সঙ্গে সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে যাবে, তা-ও নয়। এক বার টিকা প্রয়োগ করলে তা বড়জোর ছয়মাসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিতে পারবে।

আর যদি বেড়াতে বেরতেই হয়, তা হলে সব রকম সুরক্ষাবিধি মেনেই বের হতে হবে। যেখানেই যান, মাস্ক ব্যবহার বন্ধ করলে চলবে না। এমনকি, জনবহুল নয় এমন জায়গাতেও না। কারণ সে ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, আপনি নিজেও কোনও না কোনও ভাবে সংক্রমণ ছড়াতে পারেন।

বেড়াতে গেলে হোটেলে থাকতেই হবে। সে ক্ষেত্রে হোটেলের ঘর পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব নিতে হবে নিজেকেই। কম্বল বা ব্ল্যাঙ্কেট নিজেরটা নিয়ে যাওয়াই ভাল। হোটেলের দেওয়া টাওয়েলও ব্যবহার না করারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রেও যদি বাইরে থেকে খাবার খেতে হয় তবে হোটেলের প্লেটের উপর যদি কাগজের একবার ব্যবহার্য থালা বসিয়ে নিলে ভাল।

ঘন ঘন হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ করা ও বিছানা বালিশের জীবাণুনাশের ব্যবস্থা করা জরুরি।

বেড়াতে যাওয়ার জন্য এখন বেশি জনবহুল জায়গা না বেছে, অপেক্ষাকৃত ফাঁকা জায়গা বাছাই ভাল।

মনে রাখতে হবে, আপনার সুরক্ষাবিধি বজায় রাখার উপরেই নির্ভর করছে বাকিদের সুরক্ষাও।

হাতের কাছে স্থানীয় হাসপাতালের নম্বর, অ্যাম্বুল্যান্সের নম্বর রাখুন।

সব সময় এসির মধ্যে থাকবেন না। পারলে মাঝে মাঝে জানালা খুলে রাখবেন।

পারলে স্পা রুম, সুইমিং পুল ও রাইডগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো।

জীবিত বা মৃত জীবজন্তু বেচাকেনা হয় এমন বাজার সর্বাবস্থায় এড়িয়ে চলুন।

করমর্দন, কোলাকুলি ইত্যাদি থেকে বিরত থাকুন। অসুস্থ পশুপাখির সংস্পর্শ পরিহার করুন।

ভ্রমণে যে জায়গায় যাবেন সেখানে কারও শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ থাকলে তার কাছাকাছি না যাওয়া। হ্যান্ড শেক-কোলাকুলি-জনসমাগম হয় এমন জায়গায় না যাওয়া। ভ্রমণের পর ১৪ দিন পর্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। নিজের সুরক্ষার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৯জানুয়ারি/আরজেড/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :