‘সবাইকেই ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে’

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:০৮

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষার্থীরা যে বিষয় নিয়েই অধ্যয়ন করুক তার পাশাপাশি ডিজিটাল বিষয়ে বেসিক দক্ষতা অর্জন করা তাদের জন্য অপরিহার্য।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যুগের কর্মসংস্থানের জন্য ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। মেধাচর্চার কেন্দ্রভূমি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় সমূহকে এ ব্যাপারে উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী আজ বুধবার বগুড়ায় ওয়েবিনারে পুন্ড্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বগুড়া আয়োজিত কোভিড -১৯ মোকাবেলায়, প্রযুক্তির ব্যবহার প্রেক্ষিত বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

পুন্ড্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর এ এন এম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ব বিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান প্রফেসর হোসনে আরা বেগম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর সাদেকুল আরেফিন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম, সিটি ব্যাংক কর্মকর্তা অরূপ হায়দার প্রমূখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর খসরু।

মন্ত্রী করোনাকালে ডিজিটাল প্রযুক্তির সুফল কাজে লাগিয়ে দেশের মানুষের জীবনযত্রা সচল রাখতে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, আগামী সভ্যতা গড়ে উঠবে ডিজিটাল সংযুক্তির উপর। প্রচলিত শিক্ষা ডিজিটাল শিক্ষায় রূপান্তর না হলে কঠিন চ্যালেঞ্জ আমাদেরকে মোকাবেলা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি আমাদের এগিয়ে যাওয়ার চালিকা শক্তি। করোনাকালে উন্নত দুনিয়ার তুলনায় আমাদের ভাল করার মূল মন্ত্রটি ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি। দেশের শতকরা সত্তর ভাগ করোনা রোগী ঘরে বসে অনলাইনে চিকিৎসা নিয়েছে। শিক্ষা-বাণিজ্য, অফিস, আদালত সর্বত্র ডিজিটার প্রযুক্তির মাধ্যমে সচল রয়েছে। দৃর্গম গ্রামের শিশুটিও ইন্টারনেটকে তার শিক্ষার পাথেয় হিসেবে ব্যবহার করছে। দেশের প্রতিটি অঞ্চলের ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে উঠায় করোনাকালে ইন্টারনেটের চাহিদা দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও বিনা প্রস্তুতিতেও আমরা তা সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছি। হয়ত স্থান ভেদে গতির কিছুটা দুর্বলতা ছিল।

তবে এ বছরের মধ্যে দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় উচ্চ গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর বলে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

দেশে শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, আগামী দিনের শিক্ষা কাগজ নির্ভর হবে না। ডিজিটাল শিক্ষার অপরিহার্যতা তুলে ধরে তিনি বলেন, বিগডাটা, রোবটিক্স, আইওটি, ব্লকচেইন ইত্যাদি প্রযুক্তির ফলে সামনের দিনে ড্রাইভারবিহীন গাড়ী এবং কর্মীবিহীন গার্মেন্টস কারখানা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ । এই অবস্থায় প্রচলিত শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে কর্মক্ষেত্রে টিকিয়ে রাখতে তাদেরকে ডিজিটাল যুগের দক্ষতা দিতে হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দূরদৃষ্টি সম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ইতোমধ্যে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৬৫০টি বিদ্যালয়ে বই খাতা ছাড়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রদানের উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করেছে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, আজকের পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় লাইব্রেরি হলো ইন্টারনেট। তিনি শিক্ষার্থীদেরকে জ্ঞানার্জনের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করার জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ইন্টারনেটের ভাল এবং মন্দ দুটি দিকই আছে। মন্দটি অবশ্যই বর্জন করতে হবে। কম্পিউটারে বাংলা সফটওয়্যারের জনক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন আগামী দিনের পৃথিবীতে মেধাবীরাই হবে শ্রেষ্ঠ ধনী এবং যেই কোম্পানির উদ্ভাবন থাকবে তারাই হবে শক্তিশালী কোম্পানি। আমাদের সন্তানরা অত্যন্ত মেধাবী উদ্ভাবনের মাধ্যমে তারা আগামী দিনের পৃথিবী জয় করবে বলে মন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা, অতিমারি কোভিড মোকাবেলায় ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োগ অত্যন্ত সফল ফল বয়ে এনেছে উল্লেখ করে বলেন, করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিশ্বে ২০তম সফল দেশ।

(ঢাকাটাইমস/২০জানুয়ারি/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা