প্রাথমিকে ভর্তি না হওয়ার হার প্রায় ২ শতাংশ

নাটোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২১, ২০:২৫ | প্রকাশিত : ২০ জানুয়ারি ২০২১, ২০:২৪

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়ার হার প্রায় ২ শতাংশ এবং ঝরে পড়ার হার ১৮.৮ শতাংশ। দরিদ্রতা, অনগ্রসরতা, শিশুশ্রম, ভৌগলিক প্রতিবন্ধকতাসহ বিভিন্ন কারণে অনেক শিশু এখনো স্কুলের বাইরে রয়েছে।

বুধবার বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে দিনব্যাপী নাটোরে ঝরে পড়া শিশুদের বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনতে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন কার্যক্রম’ বাস্তবায়ন বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ।

কর্মশালায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আলো’র নির্বাহী পরিচালক শামীমা লাইজু নীলার উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর বাস্তবায়নাধীন আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন পরিকল্পনা অবহিত করা হয়।

এই বাস্তবায়ন কৌশল সম্পর্কে বলা হয়, সারাদেশে প্রাথমিক পর্যায়ে আট থেকে ১৪ বছর বয়সী ১০ লাখ বিদ্যালয় বহির্ভূত শিক্ষার্থীদের আগামী তিন বছরে শিখন কেন্দ্রে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান করে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার উপযোগী করে তৈরি করা হবে। আর এই ধারাবাহিকতায় নাটোরের পাঁচটি উপজেলায় মোট সাড়ে তিনশ শিখন কেন্দ্রে সাড়ে ১০ হাজার শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে।

নাটোরসহ সারাদেশে প্রাথমিক পর্যায়ে আট থেকে ১৪ বছর বয়সী ১০ লাখ বিদ্যালয় বহির্ভূত শিক্ষার্থীদের আগামী তিন বছরে শিখন কেন্দ্রে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান করে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার উপযোগী করে তৈরি করা হবে। নাটোরের পাঁচটি উপজেলাসহ দেশের ৩৪৫টি উপজেলা এবং সব সিটি করপোরেশনসহ ১৫টি শহর এলাকার নির্বাচিত উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় শিখনকেন্দ্র কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। প্রতিদিন এসব শিখনকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের তিন ঘণ্টা করে পাঠদান করা হবে। প্রতিটি শিখন কেন্দ্রে ৩০ জন করে শিক্ষার্থীর সবাই সিটি করপোরেশন এলাকাতে মাসে ৩০০ টাকা করে এবং গ্রাম এলাকাতে মাসে ১২০ টাকা করে উপবৃত্তি পাবে। নাটোরের পাঁচটি উপজেলায় মোট সাড়ে তিনশ শিখন কেন্দ্রে সাড়ে দশ হাজার শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার উপযোগী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কর্মশালায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাদিম সারওয়ার এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান খান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শরিফুল ইসলাম রমজান, জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মোহা. জালালুম বাঈদ, এম কে অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক, প্রফেসর অলোক মৈত্র, পিকেএসএস এর নির্বাহী পরিচালক ডেইজি আহমেদ প্রমুখ।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। টেকসই উন্নয়নের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে দেশের সব জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলস্রোতে সম্পৃক্ত করতে হবে। এজন্যে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।

(ঢাকাটাইমস/২০জানুয়ারি/টিএটি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :