মেঘনা নদী রক্ষায় মহাপরিকল্পনা তৈরির চুক্তি সই

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০২১, ১৩:০৩ | আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:৫৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মেঘনা নদীকে দখল, দূষণ এবং নাব্য সংকট থেকে রক্ষা করতে একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে। সরকারের এ মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে খরচ ধরা হয়েছে ১১ কোটি চার লাখ এক হাজার ৩১৬ টাকা।

শনিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে মেঘনা নদীকে কেন্দ্র করে নেয়া মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্থানীয় সরকারের বিভাগ এবং ইন্সটিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) এর সহকারী পরিচালক সালেহ খান এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের সকল নদীর দূষণ রোধ এবং নাব্য ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী আমাদের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি সেটি বাস্তবায়নে কাজ করছি। নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনা এবং অবৈধ দখল মুক্ত রাখতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য ৩৯টি নদীকে দখল, দূষণ থেকে রক্ষা করা।’

সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ঢাকা শহরকে সুন্দর একটি শহরে রুপান্তরিত করতে চাই। আমার মনে হয়, আমরা মিলে এক সঙ্গে আমরা করে থাকি। আমাদের জনপ্রতিনিধিরা, সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি নেই। আমরা সবাই একত্রিত হয়ে কাজ করছি। আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাবো ইনশাআল্লাহ।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পটির মেয়াদ ১৮ মাস। ২০২২ সালের আগস্টে কাজ শেষ হবে।

ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বলেন, ‘বুড়িগঙ্গা নদী থেকে ঢাকা ওয়াসা ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করতে পারে না। কারণ ওই পানিটা অত্যান্ত দূষিত। সে কারণে আমাদেরকে পানি আনার জন্য যেতে হচ্ছে পদ্মা নদীতে, মেঘনা নদীতে। সরকার ইতিমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে এবং বুড়িগঙ্গা নদীর দূষণ রোধ কল্পে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি হয়েছে। এখন অ্যাকশন প্ল্যান চলছে। আমাদের মন্ত্রীর নেতৃতে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে নদী উদ্ধারের কাজ চলছে।’

‘ঠিক সে রকমই মেঘনা নদী যা অত্যন্ত ভাল আছে। কিন্তু মেঘনা নদী যেন কোনো দিনও ওই অবস্থায় চলে না যায়, সে জন্য মেঘনা নদীর একটা মহাপরিকল্পনা তৈরি করা জরুরি বলে সরকার মনে করে। সে কারণে এ মাস্টারপ্ল্যানটা তৈরি করার জন্য আইডব্লিউএম এবং সিডিআইএস আমাদের বাংলাদেশের দুইটি অত্যন্ত দামি, অত্যন্ত নামি এবং অত্যন্ত প্রফেশনাল কনসালটিং ফার্মকে আমরা নিয়োগ করেছি।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, ইন্সটিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) এবং ওয়াসার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/কারই/এমআর