ভোলায় নারী কাউন্সিলরের নেতৃত্বে প্রয়াত সাংবাদিকের জমি দখল

ভোলার মহিলা কাউন্সিলরের নেতৃত্বে প্রয়াত সাংবাদিক অধ্যক্ষ আফসার উদ্দিন বাবুলের ৭০ বছরের পুরোনো পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অন্যের ভোগ দখলীয় জমি দখল করতে ভোলা পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানার নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এ জমি দখলের চেষ্টা করেন। শুক্রবার ভোলা শহরের বাংলা স্কুল মোড়ের আফসার উদ্দিন বাবুলের বাসার সামনের ভোগদখলীয় প্রায় পাঁচ শতাংশ জমি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে দখল করতে আসে।

আফসার উদ্দিন বাবুলের স্ত্রী শাহিন আফসার জানান, ১৯৫৭ সালে ভোলা শহরের বাংলা স্কুল মোড়ের আফসার উদ্দিন বাবুলের বাসার প্রবেশমুখের পাঁচ শতাংশ জমি তার বাবা হেলাল উদ্দিন তরিকুল ইসলাম গংদের কাছ থেকে কেনেন। এই জমিতে গত প্রায় ৭০ বছর ধরে তারা ভোগদখলে আছেন।

গত এক সপ্তাহ ধরে পার্শ্ববর্তী ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানা এই জমি দখলের পাঁয়তারা করছেন। সর্বশেষ শুক্রবার বিকালে মহিলা কাউন্সিলরের স্বামী জামাল, তার ভাই মামুন, রাজিব, আল আমিন, আব্দুস শহিদ ও তুহিনসহ একটি সন্ত্রাসী বাহিনী ওই জমি জোর করে দখল করতে আসেন। এসময় তারা শাহিন আফসারকে হুমকি-ধামকি দেন এবং জমি থেকে উঠে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ ও চাঁদা দাবি করেন। তাদের হুমকিতে শাহিন আফসার ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে তারা চলে যান।

শাহিন আফসার জানান, তার স্বামী জীবিত থাকতে গত পাঁচ বছর আগে স্থানীয়রাসহ ওই জমির সীমানা নির্ধারণ করে পিলার দিয়ে দেন। তারা কোনো কাগজপত্র ছাড়াই শুধু ক্ষমতার জোরে সীমানা পিলার উপেক্ষা করে এই জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি তিনি নিজেকে বর্তমান কাউন্সিলর দাবি করে জমি দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

তারা ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দিয়ে এ জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে মহিলা কাউন্সিলরের স্বামী জামাল ও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ রাজিবসহ একটি ইয়াবা সিন্ডিকেট রয়েছে।

ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পরে উভয়পক্ষের কাগজপত্র দেখে দখলকারীদের কাগজপত্র না থাকায় দখলকারীদের সাবধান করে দিয়েছি। একইসঙ্গে আফসার উদ্দিন বাবুল পরিবারকে সীমানা প্রাচীর করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে কোনো সমস্যা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/কেএম)