শখ থেকে পেশা
গাজী মুহাম্মদ সালাউদ্দিন। সংক্ষেপে গাজী মুসা। পেশায় হোমিও চিকিৎসক। ছবি আঁকেন, কবিতা লেখেন, গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবেও পরিচিতি আছে সদ্য চল্লিশ পার করা গাজী মুসার। কাঠের তৈরি জিনিসের প্রতিও তার এক ধরনের প্রেম আছে। সেই প্রেমের বহিঃপ্রকাশ ঘটে তার পোশাক পরিচ্ছদেও। তবে অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী এই মানুষটি সারাজীবন রয়ে গেছেন নিভৃতে, লোক চক্ষুর আড়ালে।
১৯৮০ সালে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার জোতগোপাল গ্রামে এক কৃষক পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন গাজী মুসা। ছোট বেলা থেকেই বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আবিস্কার করে এলাকায় চমক দেখিয়েছেন বলেই স্থানীয়দের নিকট বিজ্ঞানী নামে পরিচিত হয়ে উঠেছেন।
তবে এখন কাঠ দিয়ে চেয়ার, গাছ, ফল, ফুল, মোবাইল, টেবিল, ঘর বাড়ী, ঘড়ি, কলমদানী, ফুলদানীসহ নানা ধরনের টুকিটাকি জিনিসপত্র তৈরি করছেন তিনি। প্রথম দিকে শখের বসে এই কাজ শুরু করলেও ধীরে ধীরে এইটাই তার পেশায় পরিণত হয়েছে।
গাজী মুসা জানান, এই কাজে তার কোন ওস্তাদ বা গুরু নাই। নিজে নিজেই বানানো শুরু করেন। তবে বন্ধু মহল এই কাজে অনেক উৎসাহ দিয়েছে।
কথা বলতে বলতে হঠাৎ গাজী মুসা তার সংসারের টানাপোড়েন নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, মা-বাবা, স্ত্রী ও ছেলে নিয়ে আমার সংসার। এই পেশায় দুই লাখ টাকার বেশী খরচ করেছি। এখন সংসার চালাতে হিমসিম খাইতে হয়। তাই বাড়তি কিছু আয়ের আশায় কাঠ শোপিস পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই বিক্রি করি। বই কিনতে এসে অনেকেই পছন্দ হলে কিনে নিয়ে যান কাঠের তৈরি জিনিসগুলো।
তিনি জানান,পরবর্তীতে বিভিন্ন পার্কগুলোতে এবং ভ্রাম্যমান সার্ভিসের মাধ্যমে এসব কাঠের তৈরি জিনিস বিক্রির চিন্তা ভাবনা আছে তার। নিজের একটা শো-রুম দেয়ার ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু সে জন্য দরকার সরকারি বা বেসরকারি সহায়তা।
ঢাকাটাইমস/২৩ জানুয়ারি/পিএল