জিরানী খাল থেকে দিনে দুই টন বর্জ্য অপসারণ

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০২১, ১৯:২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ওয়াসা থেকে দায়িত্ব হস্তান্তরের পর রাজধানীর খালের বর্জ্য ও জমাট পানি অপসারণ করতে গিয়ে একটি খাল থেকেই দিনে গড়ে দুই টনের বেশি বর্জ্য ও মাটি অপসারণ করতে হচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে (ডিএসসিসি)। গত ১৫ দিনে এ খাল থেকে সাড়ে ৩২ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ হয়েছে। আরও দুইটি খাল এবং দুই বক্স কার্লভার্টের বর্জ্য অপসারণ করছে ডিএসসিসি। এরমধ্যে দুই বক্স কার্লভার্ট থেকে এক হাজার ৬০০ টনের বেশি বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ।

শনিবার খাল ও বক্সকার্লভার্টের বর্জ্য অপসারণ সম্পর্কিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ডিএসসিসি।

দক্ষিণ সিটি জানায়, শনিবার ছুটির দিন হলেও জিরানী, মান্ডা ও শ্যামপুর খাল হতে বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে জিরানী খাল থেকে গত ১৫ কর্মদিবসে ৩২ হাজার ৫০০ টন বর্জ্য ও মাটি অপসারণ করা হয়েছে। ত্রিমোহনী থেকে জিরানী খালের দেড় কিলোমিটার অংশ হতে এই বর্জ্য ও মাটি অপসারণ করা হয়েছে।

এদিকে শনিবার মান্ডা খালের মান্ডা ব্রিজ থেকে কদমতলী অংশের প্রায় ৩০০ মিটার খালের সীমানা নির্ধারণ করেছে ডিএসসিসি।

পান্থপথ বক্স কালভার্ট থেকে গত ২০ কর্মদিবসে ২৯টি পিট থেকে এক হাজার ১১০ দশমিক ৮৯ টন এবং সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট থেকে ১৮ কর্মদিবসে কালভার্টের ৪০টি পিট থেকে ৫১৯ দশমিক ৯৭ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

এছাড়াও শনিবার মান্ডা খাল ও শ্যামপুর খাল থেকে এবং টিটি পাড়া ওয়াসা পাম্প হাউজের মধ্যকার বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

ছুটির দিনেও বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান রাখার বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন বলেন, ‘মেয়র মহোদয় ৩১ মার্চের মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন দুইটি বক্স কালভার্ট ও তিনটি খাল হতে বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে সেগুলোতে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছেন, তা পূরণে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সেজন্য কাগজে-কলমে সপ্তাহে একদিনই আমরা ছুটি নিচ্ছি। শনিবার দাপ্তরিকভাবে ছুটির দিন হলেও লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কার্য সম্পাদনের স্বার্থে আমরা কেউ সেই ছুটি উপভোগ করছি না। সময়ানুযায়ী কাজটি শেষ করাটাই এখন একমাত্র লক্ষ্য।‘

প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, ‘ডিএসসিসি মেয়র মহোদয়ের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আমাদের কার্যক্রম শেষ করতে হলে ছুটির দিনেও কাজ করা লাগছে। সেজন্য লক্ষ্যমাত্রা সফল করার স্বার্থে ছুটির দিন কিংবা ছুটিবিহীন দিন বিবেচনার সুযোগ নেই। আমি নিজেও কাজ করছি, আমাদের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও আন্তরিকভাবে কাজ করছেন।’

ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/কারই/ইএস