তাড়াশে মহিষলুটি মৎস্য আড়তে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ১১:১০

উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মহিষলুটি মৎস্য আড়তে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক-সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত মাছের আড়ৎ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের মহিষলুটি এলাকা। আর এ আড়তের খাজনা আদায়ে সরকারি নিয়ম মানা হয় না। এখানে ইজারাদারের কথাই শেষ কথা। ফলে কাঙ্ক্ষিত আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শত শত খুচরা ও পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী।

মহিষলুটির ১১০টি আড়তে প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকার মাছ কেনা-বেচা হয়। সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, পাবনার ফরিদপুর, ভাঙ্গুড়া, চাটমোহর, নাটোরের গুরুদাসপুর, সিংড়া ও নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে শতশত মণ পুকুরে চাষ করা ও দেশীয় প্রজাতির বিলের ভাসা মাছ আসে এই আড়তে।

এ ছাড়া ঢাকা, ময়মনসিংহ, জামালপুর, পাবনা, কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ জন পাইকার মাছ ক্রেতা মহিষলুটি মাছের আড়তে আসেন।

মাছ কেনাবেচার গুরুত্বপূর্ণ এ স্থানটিতে খাজনা আদায়ে নেই কোনো নিয়মনীতি। ইজারাদার সরকারি নিয়ম না মেনে নির্ধারিত হারের চেয়ে ১০ থেকে ১২ গুণ বেশি খাজনা আদায় করছেন বলে অভিযোগ মাছ ক্রেতা পাবনার সুজানগরের আরব আলীর।

আরব আলী জানান, তারা এক অর্থে ইজারাদারের কাছে জিম্মি ও অসহায়। কারণ, আড়তে ইজারার মূল্য তালিকা টানানো হয় না। ফলে ইচ্ছে মতো প্রতি মণ মাছ কিনতে পাইকারদের কাছে ইজারাদার ৬ টাকার বদলে খাজনা আদায় করছেন ৮০ থেকে ১২০ টাকা। এই টাকার রসিদও দেন না ইজারাদার।

তাড়াশের মাঝিড়া গ্রামের সোহানুর রহমান জানান, বাড়ির একটি অনুষ্ঠানের জন্য মহিষলুটি মাছের আড়ত থেকে ১০০ কেজি মাছ কেনেন তিনি। এ সময় ইজারাদারের লোক তার কাছ থেকে ৩০০ টাকার খাজনা আদায় করেন। খাজনার রসিদ চাইলে তারা বেঁধে রাখার হুমকি দেন। মোট কথা, এখানে ইজারাদারের কথাই শেষ কথা।

ঢাকার মহাজন আয়নাল শেখ, জামালপুরের মিনহাজ, ময়মনসিহের ফরহাদ আলীসহ একাধিক মাছ ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, ইজারাদার এক ঝাকা মাছের জন্য ৮০ থেকে ১২০ টাকা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশি নেন। আবার প্রতি বরফের (পাটা) জন্য ১০ থেকে ১৫ টাকা, আড়তদারদের পাল্টা প্রতি ১০টাকা, প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র মাছ বিক্রেতাদের কাছ থেকে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা আদায় করা হয়।

এ বিষয়ে মহিষলুটি মাছের আড়তের ইজারাদার মোহাম্মাদ আলী ঝাকা প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, একটা ঝাকায় অনেক মাছ থাকে। আর সব অভিযোগ ঠিক না, এই বলে তিনি প্রতিবেদককে দেখা করতে বলেন।

তাড়াশ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেজবাউল করিম বলেন, এ বিষয়ে ইজারাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :