আত্মচিৎকার

মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম
| আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:২৩ | প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:০৭

হিংস্র দানবের ভয়াল থাবা

কাঁপছে দুরুদুরু চতুর্দিক

কি দেখছে এ ধরণীতল শিশুর কান্না,

মাতৃ জাতি দিশেহারা

দিকবিদিক।

বোবাকান্না নিঃশব্দে, নিথর কায়া

ছলছল আঁখি,

শুনশান নীরবতা অন্তিম রহস্যের গণ্ডি ঘেরা মর্ত্যে,

বুঝতে আছে কি বাকী?

কবিতার ছন্দ বেপরোয়া

বলাৎকারে বিপর্যস্ত বোধ করে

সেখানে ছবিও লজ্জিত, চোখ বুজে

না দেখার ভান ধরে।

যেখানে পতির সামনে স্ত্রী হাইজ্যাক

পিতার সম্মুখে দুহিতা

ললাটে লেখা

চালানো বুলি কপচিয়ে বৈধতা দিতে

নেতা সম্ভ্রমহানি হতে হয়

যখন ভ্রাতার সামনে বোন

ও শিক্ষকের কাছে ছাত্রী

সহে না এ যাতনা আপন নয়নে

মুক্তি দাও হে জন্মদাত্রী।

দুঃস্বপ্নের রাত্রি নির্ঘুম কাটিয়ে

কত মায়ের শ্লীলতাহানি

দেখতে চায় না

আর বলাৎকারের আত্ম চিৎকার

শুনতে চাই না

ভেঙে দাও রুদ্ধদ্বার।

শান্ত করো শান্তি দাও হে কবি

উদাস কেন, আজি ইজ্জত

হারানোর শোকে

সুশাসনের ভার রাখিয়া অঙ্গীকার

অপশাসন, অনাচার দাও রুখে।

এ যেন পুনর্বার অপবাদ চাপানো গ্লানি

আমার বাংলা মা

আবার ধর্ষিতা

দেখাতে আলোর পথ রাখিতে নিরাপদ

সোনার বাংলাকে;

জাগো হে জাতির পিতা।

বাঙালি জাতি হারতে শিখেনি

হারবে না আজও রুখে দিতে ধর্ষণ

আইন বানাও সচেতন করো

ওহে বীর বাঙালি মানো নীতির দর্শন।

লেখক: মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম, আইন বিশ্লেষক, কলামিস্ট ও কবি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :