ফের তাইওয়ানের আকাশে চীনের যুদ্ধবিমান

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা সীমায় রবিবার দ্বিতীয় দিনের মতো  চীনের পরমাণু অস্ত্রবাহী বিমানবহর অনুপ্রবেশ করেছে। এর আগে শনিবার আটটি পরমাণু অস্ত্রবাহী এইচ-৬কে এবং চারটি জে-১৬ যুদ্ধ বিমান তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করে।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন দায়িত্ব নেয়ার কয়েকদিন পর দ্বীপটিতে উত্তেজনা বেড়েছে। চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন তাইওয়ান মূলত দক্ষিণ চীন সমূদ্রের একটি দ্বীপ। গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে চীন নিজেদের অংশ বলে মনে করে। গত কয়েক মাস ধরে অঞ্চলটিতে তারা সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, অনুপ্রবেশের পর তাইওয়ানের বিমান বাহিনী চীনের বিমানগুলোকে সতর্ক করে। তারা এয়ারবোর্ন এলার্ট গঠন করে, রেডিও ওয়ার্নিং জারি করে এবং আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মোতায়েন করে।

শনিবার এক বিবৃতিতে তাইওয়ানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোকে ভয় দেখানোর চীনের চলমান তৎপরতাকে উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগ। বিবৃতিতে বিভাগের মুখপাত্র নেড প্রাইস তাইওয়ানের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে  চীনকে সামরিক, কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ না করতে আহ্বান জানান। ওয়াশিংটন তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করবে এবং চীনের হুমকি থেকে দেশটির প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করবে উল্লেখ করে চীনকে তাইওয়ানের সঙ্গে কার্যকর সংলাপে বসার আহ্বান জানান তিনি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তাইওয়ান প্রণালী এবং ওই অঞ্চলে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে তাইওয়ানের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার পাথরের মতো কঠিন। 

তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রবিবার সমর্থনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ দিয়েছে। তারা অংশীদারিত্ব বাড়ানোর জন্য বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে গভীরভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।

এর আগে গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানে হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র এমিলি হর্ন তাইওয়ানের রাষ্ট্রদূত হিসিয়াও বি-খিমের উপস্থিতিতে বলেছিলেন, তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি প্রস্তর কঠিন।

মানবাধিকার, বাণিজ্য কলহ, করোনাভাইরাস ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের ওপর ব্যাপক চাপ অব্যাহত রাখেন। বাইডেন চীনের সঙ্গে সংলাপের ইঙ্গিত দিলেও দেশটির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপ হ্রাসের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।     

(ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/কেআই/জেবি)