যেভাবে ওজন কমিয়ে ফিট রয়েছেন নিতা আম্বানি

প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:২০

ঢাকা টাইমস ডেস্ক

ভারতের রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতা আম্বানিকে নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ রয়েছে। তার জীবনযাপন থেকে সৌন্দর্য সব বিষয়ে জানার জন্য কৌতুহলী অনেেক। তার চোখধাঁধানো আড়ম্বরপূর্ণ জীবন, চমকে দেয় বারবার।

কয়েক বছর আগে মুকেশ-নীতা আম্বানির ছেলে অনন্ত ওজন কমিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন। একইভাবে ওজন কমিয়েছেন নীতা আম্বানি নিজেও। সম্প্রতি আবারও লাইমলাইটে উঠে এসেছে নীতার নাম। আগে তার ওজন ছিল প্রায় ৯০ কেজি। কীভাবে এত স্লিম অ্যান্ড ট্রিম হলেন নীতা আম্বানি, ৫৭ বছর বয়সে দাঁড়িয়েও কীভাবে নিজেকে এত ফিট রাখেন? সেখানেই লুকিয়ে আসল ম্যাজিক। টাইমস অব ইন্ডিয়া আম্বানির ফিটনেস সিক্রেট সম্পর্কে জানিয়েছে।

বেশ কিছু বছর আগে একটি সাক্ষাৎকারে নীতা বলেছিলেন, যে তিনি যখন বিবাহিত ছিলেন তখন তার ওজন ছিল ৪৭ কেজি। তারপর তিন সন্তানের মা হওয়ার পরই ওজন বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৯০ কেজি। তার এই স্লিম চেহারায় পিছনে রয়েছে তাক ছোট ছেলে। যার উৎসাহে তিনি নিজেকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে।

নীতা আম্বানি জানান, একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে, যে খাবারই খান তা স্বাস্থ্যের উপর সর্বাধিক প্রভাব ফেলে। তাই তিনি বেশি করে ফল, শাকসবজি, বাদাম এবং বীজ খেতে শুরু করেন। কোনো ফ্যাট ডায়েট খাবারের চেয়ে বাড়ির খাবার পছন্দ করেন বলেও জানান নীতা। ডায়েট ছাড়াও নিয়মিত নাচ তাকে ফিট থাকতে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করেছেন বলে জানিয়েছেন নীতা আম্বানি।

 

বিটের রস ওজন হ্রাসের গোপন বিষয়

বিট পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। আমাদের দেশে বিট সহজেই প্রতিটি বাজারে পাওয়া যায়। আপনি জেনে অবাক হবেন যে নীতা আম্বানির ওজন কমাতে বিটরুট প্রচুর সহায়তা করেছে। ওটা কমাতে প্রতিদিন এক থেকে দুই গ্লাস বিটরুট রস পান করেন নীতা আম্বানি। বিটের রস কেবল শরীরকেই ডিটক্স করে না, পেট পরিষ্কার রাখার জন্যও কাজ করে। এটিতে কোনো ফ্যাট নেই এবং ক্যালোরিগুলিও খুব ছোট। যার কারণে এটি ওজন কমাতে খুব সহায়ক।

দিনের শুরুতে বাদাম ও আখরোট খেয়ে দিন শুরু করেন নীতা। সকালের নাস্তায় কুসুম বাদে ডিমের সাদা অংশটা অমলেট খান। দুপুরে সবুজ শাক-সবজি, স্যুপ খান। সন্ধ্যায় পনির বা প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। এবং রাতের খাবারে থাকে সবুজ শাকসবজি, স্যুপ কিংবা স্পাউট।

 

নাচ

শুধু ওয়ার্কআউটই নয়, ক্যালোরি কমানোর জন্য নাচও করেন নীতা। নাচের পরে ৩০ মিনিট ওয়ার্কআউট করেন এবং সন্ধ্যাবেলায় যোগব্যায়াম করেন। ওজন কমানোর বিষয়ে নীতা আম্বানি জানান, আসলে সন্তান যা করে, মাও তাই করে। অনন্ত যখন ডায়েট করছিল, তখনও অনেক কিছুই খাওয়া বন্ধ করে দেয়। তখন আমিও ওর সঙ্গে ডায়েট করেছিলাম।

নীতা আম্বানির কথায়, ডায়েটে থাকাকালীন অনন্ত যা কিছু খেত, আমিও তাই খেতাম। ও যখন হাঁটতে যেত, আমিও যেতাম। ও যখন শরীরচর্চা করত আমিও করতাম। ওই আমার অনুপ্রেরণা, ওর মত করে সবকিছু করতে গিয়ে আমারও ওজন কমে। যদিও আমরা এখনও স্থুলতার সঙ্গে লড়াই করে চলেছি'।

নীতা আম্বানি ইতিমধ্যে তার পুত্র অনন্ত আম্বানির ওজন হ্রাস যাত্রাকে নিজের জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক গল্প বলে গেছেন। মা ও ছেলে একে অপরকে ওজন কমাতে অনেক উত্সাহিত করেছিলেন।

নীতা আম্বানি একবার বলেছিলেন, অনন্তের মা হওয়ায় আমার ওজনও হ্রাস পেয়েছে। ওজন হারাতে তিনি আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা ছিল। কারণ আমরা এখনও স্থূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করছি। অনেক শিশু রয়েছে যারা স্থূলত্বের সাথে লড়াই করছেন এবং তাদের মায়েরা এখনও এটি মেনে নিতে লজ্জা বোধ করেন।

ঢাকা টাইমস/২৫জানুয়ারি/একে