সেরামের ৫০ লাখ টিকা আসছে আজ

প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০২১, ১০:৫৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ভারতের উপহার হিসেবে ২০ লাখ করোনার টিকা ইতোমধ্যে পেয়েছে বাংলাদেশ। আর সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ছয় মাসে তিন কোটি টিকা কেনার চুক্তি আছে। যার প্রথম ধাপে আজ সোমবার ৫০ লাখ টিকা ঢাকায় পৌঁছানোর কথা। ’

বিমানবন্দর থেকে এই টিকা বেক্সিমকোর টঙ্গীর গুদামে নেয়া হবে। সারা দেশে পাঠানোর আগে এই টিকা সরকারি ওষুধ পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে ছাড়পত্র নেয়া হবে বলে জানা গেছে। 

অন্য দিকে কোভ্যাক্স থেকে দেশের ২০ শতাংশ মানুষের জন্য টিকা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এর বাইরে আরও টিকা কেনার পরিকল্পনা আছে সরকারের। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে দেয়া প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রতি মাসে ৫০ লাখের বেশি টিকা এলে তা রাখার মতো জায়গা তাদের নেই। বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স থেকে টিকা এলে বাড়তি জায়গার প্রয়োজন হবে।

এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছেন, আজ সোমবার ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ৫০ লাখ টিকা ঢাকায় আসবে। এর আগে ২১ জানুয়ারি ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ২০ লাখ টিকা এসেছে। এই ৭০ লাখ টিকা রাখা ও বিতরণের সব প্রস্তুতি সরকার নিয়ে রেখেছে।

সরকার, সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যকার ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে এই টিকা কেনা হচ্ছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত এই টিকা কোভিশিল্ড নামে উৎপাদন করছে সেরাম। দেশে এই টিকা সরবরাহ করবে বেক্সিমকো। বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই টিকা উড়োজাহাজে করে ঢাকায় পৌঁছাবে। বিমানবন্দরে বেক্সিমকোর গাড়ি থাকবে। বিমানন্দর থেকে টিকা নেওয়া হবে বেক্সিমকোর টঙ্গীর নতুন সংরক্ষণাগারে। এরপর সরকারের চাহিদা অনুযায়ী এই টিকা ৬৪ জেলার সিভিল সার্জনদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।

এদিকে বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স থেকে দেশের ২০ শতাংশ মানুষের জন্য টিকা দেয়ার কথা। তবে সেই টিকা কবে আসবে, তা নিশ্চিত কেউ বলতে পারছে না। কোভ্যাক্স বলেছে, এ বছরের প্রথম তিন মাসের মধ্যে তারা কিছু টিকা পাঠাবে।

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ শতাংশ মানুষের জন্য টিকা এলে তা সংরক্ষণের জন্য ৬৭ দশমিক ১৪ ঘনমিটার কোল্ড স্পেস বা সমপরিমাণ ফ্রিজার স্পেসের প্রয়োজন হবে। সে ক্ষেত্রে জেলার জন্য অতিরিক্ত ১৭৯টি আইএলআর (আইস লাইনার রেফ্রিজারেটর) এবং ৩১২টি ডিপ ফ্রিজ কিনতে হবে। আর উপজেলার জন্য ২৯৪টি আইএলআর ও ২৯৪টি ডিপ ফ্রিজ কিনতে হবে।

এদিকে সরকার কোভ্যাক্সের কাছে থেকে আট লাখ ডোজ ফাইজারের টিকা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই টিকা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ না করলে তা নষ্ট হবে। স্থায়ী কমিটিকে দেয়া প্রতিবেদনে মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় টিকা সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। সে ক্ষেত্রে এ ধরনের টিকা দেশে এলে তা কার্টন থেকে বের করে ৩ থেকে ৫ দিন মাইনাস ১৫ থেকে মাইনাস ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখতে হবে। অতি দ্রুত তা মানুষকে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। 

(ঢাকাটাইমস/২৫জানুয়ারি/কেআর)