সদরঘাট থেকে ছাড়ছে না কোনো লঞ্চ

প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:০৮ | আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

 

ঢাকায় আদালতে যাত্রীবাহী নৌযানের দুজন মাস্টারের (চালক) জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে ধর্মঘট ডেকেছে নৌযান শ্রমিকরা। আদালতের আদেশ শোনার পর ঢাকা সদরঘাট পন্টুন থেকে লঞ্চ সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে ঢাকা থেকে বরিশালসহ দেশের দূরপাল্লার কোনো রুটে আজ লঞ্চ ছেড়ে যাবে না বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। যাত্রীদের বিকল্প পথে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিআইডব্লিউটিএ এর যুগ্ম-পরিচালক জয়নাল আবেদীন বলেন, দুই মাস্টার সোমবার জামিনের মেয়াদ বাড়াতে মেরিন কোর্টে গিয়েছিলেন। সেখানে তাদের জামিন না হওয়ায় শ্রমিকরা দুপুরে পন্টুন থেকে লঞ্চ সরিয়ে নেয়।

এক বছর আগে চাঁদপুরের হরিনাঘাটে অ্যাডভেঞ্চার-১ ও অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কেউ মারা না গেলেও লঞ্চ দুটি ওই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ নিয়ে মেরিন আদালতে যে মামলা হয়েছিল, তাতে দুই লঞ্চের মাস্টার রুহুল আমিন ও জামাল হোসেন জামিনে ছিলেন। সোমবার তারা সেই মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।

এর প্রতিবাদে নৌ শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে গেছে জানিয়ে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম চৌধুরী বলেন, ‘কোথায় দুর্ঘটনায় ঘটেছে, তার হদিস নেই, চার মাস এই দুজনের সার্টিফিকেট 'হোল্ড' করে রাখা হয়েছিল। জামিন না দেওয়ায় কোনো কারণ ছিল না। শ্রমিকরা প্রতিবাদ জানাতে ঘাট থেকে লঞ্চ সরিয়ে নিয়েছে।’

নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বরিশাল জেলা সভাপতি শেখ আবুল হাসেম জানান, মেরিন আদালতে দুই মাস্টারের জামিন বাতিল করার পরই শ্রমিকরা সংক্ষুব্ধ হয়। কারান্তরীণ দুই নৌযান মাস্টারের মুক্তির দাবিতে তাৎক্ষণিক ধর্মঘট শুরু করেন নৌযান শ্রমিকরা।

একই রুটের এমভি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার কবির হোসেন জানান, ওই দুই নৌযান মাস্টারকে মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত তাদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।

সুন্দরবন-৮ লঞ্চের মাস্টার জামাল হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, দুই মাস্টারকে মুক্তি দেয়া না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। প্রয়োজনে অন্য পণ্যবাহী নৌযানগুলোও বন্ধ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকার সদরঘাট এবং বরিশাল থেকে কোনো লঞ্চ ছাড়বে না। যেসব লঞ্চ ইতোমধ্যে বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে সেগুলো ঢাকায় গিয়ে আর আসবে না।

কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই আকস্মিক দূরপাল্লা রুটের যাত্রীবাহী নৌযানে ধর্মঘট শুরু হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী। তারা অনতিবিলম্বে নৌযান ধর্মঘট নিরসনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

ঢাকাটাইমস/২৫জানুয়ারি/এমআর